বিনোদন

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার সুপারিশ

<![CDATA[

যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার সুপারিশ করা হয়েছে। চারটি ফৌজদারি অভিযোগ আনার ব্যাপারে বিচার বিভাগকে সুপারিশ করেছে কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের হাউস সিলেক্ট কমিটি। ডেমোক্র্যাট এমপি জেমি রাসকিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর মাধ্যমে অবশেষে আইনের আওতায় আসছেন দেশটির সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট।

বিবিসির প্রতিবেদন মতে, সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) জেমি রাসকিন এ বিষয়ে এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আনার ব্যাপারে বিচার বিভাগকে সুপারিশ করা হয়েছে। যেসব অভিযোগ আনার সুপারিশ করা হয়েছে, সেগুলো হচ্ছে, সরকারি কার্যক্রমে বাধা প্রদান, রাষ্ট্রকে ধোকা দেয়ার ষড়যন্ত্র, মিথ্যা বক্তব্য দেয়ার ষড়যন্ত্র ও বিদ্রোহে প্ররোচিত করা, সহযোগিতা করা, সহায়তা করা বা পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়া।

ক্ষমতাসীন দলের (প্রতিনিধি পরিষদের হাউস সিলেক্ট কমিটি) এ সুপারিশ মানতে বাধ্য নয় বিচার বিভাগ। তবে রাসকিন বলছেন, এ সুপারিশের বিপরীতে প্রচুর প্রমাণ তাদের হাতে আছে। তবে ক্যাপিটল হামলার ঘটনায় কংগ্রেস একাই তদন্ত করছে না। এ ব্যাপারে বিচার বিভাগের পৃথক একটা তদন্ত চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন: টুইটারের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন ইলন মাস্ক?

সেজন্য একজন বিশেষ কৌঁসুলি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পরিষদের তদন্ত কমিটির প্রধান বেনি থম্পসন বলেন, অপরাধগুলো কয়েকটি ভাগে বিভক্ত করে সুপারিশগুলো করা হবে। ট্রাম্প এ নিয়ে এখনো সরাসরি কিছু বলেননি। তবে তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন চিউং তদন্ত কমিটির কড়া সমালোচনা করেছেন এবং তাদের ‘ক্যাঙারু কোর্ট’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

যদিও এ কমিটি নিজেদের তদন্তের ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী। কমিটির সদস্য জো লফগ্রেন গত শুক্রবার বলেন, কোনো অভিযোগ সুপারিশ করার ব্যাপারে তদন্ত কমিটি বেশ সতর্ক। প্রতিটি অভিযোগ তথ্যের ওপর ভিত্তি করে নেয়া হয়েছে, যে তথ্যগুলো কিনা তদন্তে উঠে এসেছে।

এদিকে তদন্ত কমিটির প্রধান থম্পসন জানান, বুধবার পুরো প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে। এদিন সাধারণ মানুষ প্রতিবেদনটি দেখতে পারবেন। এর আগে সোমবারই প্রতিবেদনটি অনুমোদন দেবেন তারা। আর বিচার বিভাগের কাছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ আনা সুপারিশ করা হবে, সেটাও ঘোষণা করা হবে সোমবারই।

আরও পড়ুন: টুইটার /সিইওর পদ ছাড়া নিয়ে মতামত চেয়ে ‘ফাঁসলেন’ মাস্ক

এর আগে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ট্রাম্প ছাড়াও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের বিষয়েও তদন্ত করছে কমিটি। এর মধ্যে ট্রাম্পের আইনজীবী জন ইস্টম্যান, সাবেক আইনজীবী রুডি জুলিয়ানি, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস, বিচার বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা জেফ্রি ক্লার্কও রয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২০ সালের ৩ নভেম্বর। এর ৬৪ দিন পর ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথসভা বসে। যেখানে ইলেকটোরাল ভোট হিসেবে করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এ পদক্ষেপ ঠেকিয়ে দিতে ওইদিন ক্যাপিটলে হামলা চালান ট্রাম্পের উগ্রপন্থী সমর্থকেরা। হামলার ঘটনায় সাতজন প্রাণ হারান। আহত হন আরও অনেকে।  
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!