বাংলাদেশ

অতিথি পাখির অভয়াশ্রম পঞ্চগড়ের ময়দানদিঘি পুকুর

<![CDATA[

দেশের সর্ব-উত্তরের প্রান্তিক ও হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত জেলা পঞ্চগড়। এ জেলার বোদা উপজেলার ময়দানদিঘি পুকুর এখন অতিথি পাখির অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে।

পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছর শীত একটু ভিন্নভাবে নামে। এতে যেমন শীত উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা উত্তরের এ জনপদে ছুটে আসেন, ঠিক তেমনি শীত মৌসুমে অতিথি পাখির আনাগোনায় অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে জেলার ময়দানদিঘি পুকুর।

শীতজুড়ে অতিথি পাখির আগমনে এ পুকুরের সৌন্দর্যে এক বাড়তি মাত্রা যোগ হয়েছে। আর পাখিদের দুরন্তপনা উপভোগ করতে দূর-দূরান্ত থেকে পুকুরপাড়ে ছুটে আসছেন পর্যটক ও প্রকৃতিপ্রেমীরা।

আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ের ৩৩ নদী যেন এখন মরা খাল

জেলা শহর থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পাশেই ময়দানদিঘি বাজারেই অবস্থিত এ পুকুর। ময়দানদিঘি পুকুরের পানিতে পানকৌড়ি, পাতিহাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখির আগমনে এর সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে। তবে দিনের বেলা পাখিদের আনাগোনা কম থাকলেও সকালে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো পুকুর এলাকা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালে পুকুরটি সংস্কারের পর ময়দানদিঘি পুকুরে হাজারো পাখির আনাগোনা শুরু হয়। আর এতে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে পুকুরপাড় এলাকা।

স্থানীয়রা সময় সংবাদকে জানান, শীতের এই সময়ে অতিথি পাখির আগমন ঘটে থাকে। তবে গতবারের তুলনায় এবার প্রচুর অতিথি পাখি দেখা যাচ্ছে। আর পাখির আগমনে জায়গাটির সৌন্দর্য আরও ফুটে উঠেছে।

পঞ্চগড়ে ঘুরতে আসা সুমাইয়া আক্তার সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমার বাড়ি রংপুরে। পরিবারের সঙ্গে তেঁতুলিয়া ঘুরতে যাচ্ছি। পথিমধ্যে পুকুরে অনেক অতিথি পাখি দেখে আমরা এখানে দাঁড়াই। অপরূপ সুন্দর লাগছে পাখির অবাধ বিচরণ দেখে। ভ্রমণের শুরুতেই মনোমুগ্ধকর এই পরিবেশ উপভোগ করতে পেরে খুশি পরিবারের সবাই।’

আরও পড়ুন: রসিক নির্বাচন: ভোটারদের মন জয়ে মরিয়া মেয়র প্রার্থীরা

এদিকে স্থানীয় রাকিবুজ্জামান রাকিব সময় সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের এ এলাকার দর্শনীয় স্থান ময়দানদিঘি পুকুর। পুকুরপাড়ে আমরা প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় অবসর সময় অতিবাহিত করি। কারণ, এই পুকুরপাড়ে শীতের সময় প্রচুর অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর তা দেখতে ও মোবাইলে ধারণ করে রাখতে অনেক ভালো লাগে।’

স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, অতিথি পাখির আগমনে যেন কোনো বাধা সৃষ্টি না হয়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সে ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণ অতি জরুরি হয়ে পড়েছে।

ময়দানদিঘি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার সময় সংবাদকে বলেন, ‘পাখি মেরে ফেলা কিংবা যাতে তাড়িয়ে দেয়া না হয়, সে বিষয়ে এলাকার সবাইকে সচেতন করা হয়েছে। আমরা সবসময় নজরদারির মধ্যে রেখেছি। আশা করি, পাখির আনাগোনা আরও বৃদ্ধি পাবে।’

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!