পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ
<![CDATA[
পদ্মা সেতুতে আগামী জুনে রেল চালু করতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। ১৩ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেললাইনের অর্ধেক এরই মধ্যে বসানো হয়েছে। একই সঙ্গে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে রেলস্টেশন, জংশন নির্মাণের পাশাপাশি রেললাইনের ফিনিশিং কাজ চলছে সমান তালে।
ঢাকা-যশোর ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ। লেভেল ক্রসিংবিহীন এই রেলপথ নির্মাণে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এরই মধ্যে ৩২টি রেল কালভার্ট, ৩৭টি আন্ডারপাস এবং ১৩টি রেলসেতুর কাজ শেষ হয়েছে।
মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের ২৯ কিলোমিটার পাথরসহ রেললাইন নির্মাণ শেষে সফলভাবে পরীক্ষামূলক ‘ট্র্যাক কার’ চালানো হয়েছে। আর ১৩ কিলোমিটার পাথরবিহীন রেললাইনের বাকি মাত্র সাড়ে ৬ কিলোমিটার।
এদিকে মাওয়া রেলস্টেশন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। স্টেশন এলাকায় চার লেনের রেলপথ বসানোর কাজ চলছে। কাজের অগ্রগতি ৮৬ শতাংশ। এরই মধ্যে নির্মাণ শেষ হয়েছে দেশের প্রথম সাসপেনডেন্ট প্ল্যাটফর্মের।
আর সেতুর জাজিরা প্রান্তের পদ্মা রেলস্টেশনের কাজের অগ্রগতি ৭৮ শতাংশ। শিবচর স্টেশনের অগ্রগতি ৫৮ ভাগ। ভাঙ্গা পুরোনো স্টেশন আধুনিকায়নের অগ্রগতি ৫৬ শতাংশ।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতু /জাজিরা প্রান্ত থেকে পাথরবিহীন রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু
দেশের অত্যাধুনিক ভাঙ্গা রেল জংশনে ভবন নির্মাণ ও জংশনের রেললাইন নেটওয়ার্ক স্থাপন চলছে একযোগে। কাজের অগ্রগতি ৪১ ভাগ।
আর রেলপথ শত বছর টেকসই রাখতে কাজের গুণগতমানকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
রেললাইন স্থাপন কাজে জড়িত এক শ্রমিক বলেন, ‘লাইন স্থাপনে আমরা অত্যাধুনিক জিআরপি মেশিন ব্যবহার করছি। এতে অতি সূক্ষ্মভাবে লেভেল ঠিক করা সম্ভব হয়।’
এ বিষয়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকৌশলী শাদমান শাহরিয়ার বলেন, ‘আমরা দুই প্রান্ত থেকেই কাজ করে আসছি। এতে একটা পয়েন্টে এসে মিলিত হবে। এ কারণে প্রতিটি কাজের জন্য রেল জ্যামিতি খুব সূক্ষ্মভাবে ম্যানেজ করে নিতে হচ্ছে।’
পদ্মা সেতুর ৬ দশমিক ৬৬৮ কিলোমিটারের মধ্যে আধা কিলোমিটার পাথরবিহীন রেললাইন স্থাপনের কাজ হয়েছে।
]]>