বুরকিনা ফাসো থেকে জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তা বহিষ্কার
<![CDATA[
জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তাকে দেশ থেকে বহিষ্কার করেছে বুরকিনা ফাসো সরকার। শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতে জাতিসংঘের আবাসিক এবং মানবিক সমন্বয়কারী বারবারা মানজিকে ‘পারসনা নন গ্রাটা’ ঘোষণা করেছে বুরকিনা ফাসোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অলিভিয়া রৌয়াম্বা রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত এক টেলিভিশনে বলেছেন, বারবারা মানজি ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর’ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এ ছাড়া সাহেল অঞ্চলের জিবোতে প্রবেশ করেছিলেন। যেখানে দেশের নিরাপত্তা বাহিনী প্রবেশ করতে পারে না।
মানজিকে গত বছরের আগস্টে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইউক্রেন, ইরাক, মায়ানমার এবং শ্রীলঙ্কায় জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয়ের প্রধান হিসেবে কাজ করার ব্যাপক অভিজ্ঞতা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বুরকিনা ফাসোয় আলাদা হামলায় নিহত ১৪
বুরকিনা ফাসোর আগে তিনি জিবুতিতে আবাসিক সমন্বয়কারী ছিলেন। তবে এই বিষয়ে জাতিসংঘ তাৎক্ষণিকভাবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেনি। গত সপ্তাহে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে দুই ফরাসি নাগরিককে দেশ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। এদিকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে মানজিকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত উদ্বেগজনক। এটি মানবিক গোষ্ঠীগুলোর জন্য বুরকিনা ফাসোতে কাজ করা কঠিন করে তুলবে।
বুরকিনা ফাসো, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশ। দেশটিতে আল-কায়েদা এবং আইএসআইএল (আইএসআইএস) গ্রুপের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষ চলছে। এ ছাড়া দেশটিতে হাজার হাজার বেসামরিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই অস্থায়ী শিবিরে বসবাস করছে। জাতিসংঘ দেশটিতে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের জন্য খাদ্য সরবরাহসহ কিছু প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করছে।
]]>




