ভ্রমণলাইফস্টাইল

ভ্রমণে সতর্কতা মার্কিনীদের, উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় বাংলাদেশ

মো: মিজানুর রহমান (পলাশ)

অনেক বেশি নাগরিককে টিকাদান ও করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের ওপর ভিত্তি করে ১২০টি দেশের জন্য ভ্রমণ নির্দেশনা জারি করেছেন মার্কিন জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।

এতে সংক্রমণের দিক থেকে উচ্চ ঝুঁকির দেশের তালিকায় বাংলাদেশকেও রাখা হয়েছে। বাংলাদেশসহ মোট ৬১ দেশকে এই তালিকায় রেখে মহামারির মধ্যে এসব দেশ ভ্রমণ না করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মার্কিন অধিবাসীদের।

যদি এসব দেশে ভ্রমণ একান্তই করতে হয়, তবে কোভিড-১৯ টিকা নেওয়ার পরই তা করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (০৭ জুন) দেশটির কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা কেন্দ্রের হালনাগাদ ভ্রমণ সুপারিশে যারা টিকা নিয়েছেন ও যারা নেননি, তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন হালনাগাদ সুপারিশে আইসল্যান্ড, ইসরায়েল ও সিঙ্গাপুরসহ ৩৩টি দেশকে সবচেয়ে কম ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনার সংক্রমণ অব্যাহত আছে কিন্তু নিয়ন্ত্রিত—এমন দেশ থেকে মারাত্মক সংক্রমিত দেশকে ভালোভাবে আলাদা করতে ভ্রমণ স্বাস্থ্য নোটিশ হালনাগাদ করেছে সিডিসি।

একটি দেশের করোনা আক্রান্তের সংখ্যার ওপর ভিত্তি করে সিডিসির ঝুঁকির মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যায়ে টিকা দেওয়ার প্রতিই জোর দিয়েছে সংস্থাটি। ভ্রমণ নির্দেশনার ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা চারটি পর্যায়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।

পর্যায়-৪-এ থাকা দেশগুলোকে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। গত ২৮ দিনে প্রতি এক লাখ অধিবাসীর মধ্যে যদি ৫০০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়ে থাকেন, তবে সেই দেশ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। ব্রাজিল, ভারত, ইরাক ও বাংলাদেশকে এই পর্যায়ে রাখা হয়েছে।

অতি উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় থাকা এশিয়ার অন্য দেশগুলো হলো—বাহরাইন, ইরাক, কুয়েত, মঙ্গোলিয়া, উত্তর কোরিয়া, সৌদি আরব, সিরিয়া, উজবেকিস্তান ও ইয়েমেন।

সিডিসির তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান রয়েছে মোটামুটি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায়।

মেক্সিকো, রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলোকে রাখা হয়েছে পর্যায়-৩-এ। প্রতি এক লাখ অধিবাসীর মধ্যে যদি ১০০ থেকে ৫০০ জন করোনায় আক্রান্ত হন, তবে সেসব দেশকে এই পর্যায়ভুক্ত করা হয়েছে। যাদের টিকা দেওয়া হয়নি, এসব দেশে তাদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ না করতে সুপারিশ করা হয়েছে।

পর্যায় ১-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা কম। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

পর্যায়-২-এ থাকা দেশগুলো ভ্রমণের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা মাঝারি। এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলোতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আগেই টিকার পূর্ণ ডোজ নিতে বলা হয়েছে।

যারা টিকা নেয়নি, পাশাপাশি করোনায় সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি আছে, তাদের অপরিহার্য না হলে এই পর্যায়ে থাকা দেশগুলো ভ্রমণ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!