মস্কো-বেইজিং সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে: চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী
<![CDATA[
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে মস্কো-বেইজিং সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। খবর এপির।
রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে পাল্টে গেছে বৈশ্বিক রাজনীতি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমারা জোটবদ্ধ হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও মস্কোর সঙ্গে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক টিকিয়ে রেখেছে বেইজিং। এমনকি অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বলে জানিয়েছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে নাজুক হয়েছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
ওয়াং ই বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ় হয়েছে মস্কো-বেইজিং সম্পর্ক। দুই দেশ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে এক হয়ে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রকে সীমা অতিক্রম না করার হুমকি চীনের
রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কও শক্তিশালী হয়েছে উল্লেখ করে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই দেশ এখন নিজেদের মুদ্রায় লেনদেন করছে। রাশিয়ার সঙ্গে ২০০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান তিনি।
রাশিয়ার সঙ্গে চীনের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ জড়িয়ে আছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এত কিছুকে পাশ না কাটিয়ে দেশটির সঙ্গে সামরিক ও কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদারের পথই বেছে নেয় চীন। এ ছাড়া মস্কোর বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব বেইজিংকে কতটা চাপে ফেলবে, তা নিয়েও দ্বিধায় ছিল চীন। নিজেদের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা ছাড়া চীনের কাছে আর কোনো পথ ছিল না বলেও মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: করোনা শনাক্তের তথ্য প্রকাশ করবে না চীন
এদিকে মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি হলেও ঠিক উল্টো চিত্র ওয়াশিংটনের ক্ষেত্রে। চলমান ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তাইওয়ান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নাজুক হয়েছে সম্পর্ক।
ওয়াং ই বলেন, দুই দেশের মধ্যে নানা বিষয়ে বড় ধরনের মতপার্থক্য রয়েছে, যা উভয় রাষ্ট্রের জন্য অকল্যাণকর। তবে মার্কিন প্রশাসন নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলে চীনের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নতি হবে বলেও আশাবাদ প্রকাশ করেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
]]>