ছয়টি সাগাইং গ্রামে আগুন দিল জান্তা সেনারা
<![CDATA[
মিয়ানমারের জান্তা সেনারা দেশটির সাগাইং অঞ্চলের চাউং-ইউ টাউনশিপের ৬টি গ্রামে অগ্নিসংযোগ করেছে। এসময় অন্তত ১৬ হাজার মানুষ নিজ বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়। প্রতিরোধ গোষ্ঠীর বরাতে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম ইরাবতী।
সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, প্রতিরোধ গোষ্ঠী অবস্থান করতে পারে এমন সন্দেহে জান্তা সেনারা গেল ২৭ ডিসেম্বর ওয়া ইয়ার ও ইওয়ার থিট গ্রামে আগুন দেয়। পরদিন ২৮ ডিসেম্বর নগর বো, কোন থার, তাও কিয়াং লে এবং হতান তাও গ্রামে আগুন দেয়।
চাউং ইউ রেভল্যুশনারি আর্মি (সিআরএ) এর কো পিয়ান হালওয়ার বলেন, ১৬ হাজারেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে এবং গ্রামে কেউ অবশিষ্ট না থাকায় কেউ জানেন না কতগুলি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
এর আগে গেল ২৫ ডিসেম্বর প্রতিরোধ গোষ্ঠীর যোদ্ধারা কাঙ্গি কোন গ্রামে একটি জান্তা মিলিশিয়া ক্যাম্প ও আহ মিন্ট গ্রামে একটি পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: এক বছরে ১৬৫ শিশুকে হত্যা করেছে মিয়ানমার জান্তা: এনইউজি
জানা যায়, গত কিছুদিন যাবত সিআরএ, মনিওয়া পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ), চাউং-ইউ টাউনশিপ পিপলস লিবারেশন ফোর্স এবং সাগাইং এবং মাইংইয়ানের অন্যান্য প্রতিরোধ যোদ্ধারা নিয়মিত জান্তা বাহিনী ও মিলিশিয়া সদস্যদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। এসব হামলার পরিপেক্ষিতেই ২৭ ডিসেম্বরের অগ্নিসংযোগের ঘটনা বলে জানা গেছে।
আহ মিন্ট গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, প্রতিরোধ আক্রমণের পর অন্তত ১৫০ জান্তা ও মিলিশিয়া সদস্য গ্রামে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে মিয়ানমার বিষয়ক প্রস্তাব গ্রহণ
প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো জানিয়েছে, জান্তা সেনাদের হামলায় ১০জন বিপ্লবী যোদ্ধা আহত হয়েছেন এবং ২৭ ডিসেম্বর ৪ জন মারা যান।
কো পিয়ান হালওয়ার বলেছেন, আমরা ২ জান্তা সেনাকে হত্যা করেছি এবং কিছু বেসামরিক জিম্মিকে বাঁচিয়েছি। তারা পিছু হটে চলে যাওয়ার সময় গ্রামগুলোতে আগুন দেয়।
]]>