শিশু ধর্ষণ ও হত্যার বিচার চেয়ে মায়ের মানববন্ধন
<![CDATA[
কুমিল্লার বরুড়া উপজেলায় ১০ বছরের এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার বিচার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহতের মা।
সোমবার (০২ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর একটি কনফারেন্স হলে নিহতের মা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। এই সময় নিহতের মা-বাবা ও বাদী পক্ষের আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে শিশু ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেফতার
সংবাদ সম্মেলনে নিহত শিশুর মা অভিযোগ করেন, তার মেয়েকে ধর্ষণের পর খুন করেছে জসিম। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় এলাকাবাসী সন্দেহজনক জসিমকে ধরে পুলিশের কাছে দিলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং আদালতে নেয়ার পর ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে সে। ঘটনার পরের দিন নিহতের মা বাদী হয়ে জসিমের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করতে বলেন বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল বাহারকে। কিন্তু আসামিকে আদালতে চালান করার পর মামলার এজাহারে আসামির নাম না দিয়ে অজ্ঞাতনামা দেয়া হয়েছে। আসামি নিজের মুখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করা এবং আসামির নাম সুস্পষ্টভাবে বলার পরও আসামির নাম কেন এজাহারে আসেনি এই বিষয়ে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ত। আমার মেয়ের হত্যা মামলার প্রধান আসামি জসিমের ফাঁসি চাই। যাতে করে এমন বর্বরোচিত ঘটনা আর কোথাও না ঘটে।’
আরও পড়ুন: বিস্কুটের প্রলোভনে শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেফতার
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান সময় সংবাদকে বলেন, ‘মামলার স্বার্থে এজাহার নামায় আমরা আসামির নাম উল্লেখ করিনি। আসামি জসিম পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও আদালতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ডিএনএ রিপোর্ট দেখে দ্রুতই আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ওই শিশু উপজেলার গজারিয়া এলাকায় খালার বাসায় বেড়াতে আসে। ১৪ ডিসেম্বর দুপুর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সন্ধ্যায় বরুড়া উপজেলার বাড়ি ভূঁইয়া বাড়ির পাশে বাঁশ ঝোঁপে ওই শিশুর মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় এলাকাবাসী সন্দেহজনক একই এলাকার মনোহর আলীর ছেলে জসিমকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরের দিন নিহত শিশুর মা বাদী হয়ে বরুড়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
]]>