৮ জেলায় শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা আরও কমতে পারে
<![CDATA[
উত্তরের হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশা কমিয়ে এনেছে দৃষ্টিসীমা। ছন্দপতন ঘটিয়েছে জনজীবনে। সূর্যের দেখা না মেলায় দিন ও রাতের ব্যবধান কমে গিয়ে গেল দুদিন ধরে সারাদেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।
বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।
এতে বলা হয়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। এছাড়া দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীত অব্যাহত থাকতে পারে।
ঢাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাতাসের আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৮১ শতাংশ। এদিন ঢাকায় উত্তর অথবা উত্তর পশ্চিম দিকে থেকে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আবারও জেঁকে বসে। জেলার বিমান বাহিনীর আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, যশোরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে এবং শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) তাপমাত্রা আরও কমার শংকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর প্রধান কারণ অনিরাপদ গর্ভপাত’
এদিকে, বরিশালে শীতের তীব্রতা আগের দিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার আরও বেড়েছে। জেলার শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৩৬টি বেডের বিপরীতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ১২৩ জন। এ হাসপাতালে এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। আর বরিশাল বিভাগে শ্বাসকষ্টে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৩ হাজার ১৮৭ জন।
রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপামাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। সারাদিন ধরে কনকনে বাতাসের কারণে নগর জীবনে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
এছাড়া খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ এবং মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। কুয়াশা ভেদ করে কাজে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষকে।
আরও পড়ুন: সেন্টমার্টিনে বাজার করতে টাকা লাগে না!
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তার কাছাকাছি বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
ঢাকায় শুক্রবার সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৪৩ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ২৬ মিনিটে।
]]>




