বাংলাদেশ

সারা দেশে হাড় কাঁপাচ্ছে পৌষের শীত

<![CDATA[

সারা দেশে হাড় কাঁপাচ্ছে পৌষের শীত। দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা কমিয়ে এনেছে দৃষ্টিসীমা। ছন্দপতন ঘটিয়েছে জনজীবনের। সূর্যের দেখা না মেলায় দিন ও রাতের ব্যবধান কমে গিয়ে দুদিন ধরে সারা দেশেই অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রচণ্ড ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন। বেশি বিপাকে পড়েছেন হতদরিদ্ররা।

রাজশাহী

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ। সারা দিন ধরে পিনপিনে বাতাসের কারণে নগর জীবনে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষ। তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি পশু-পাখিদেরও জবুথবু অবস্থা।

এদিকে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকে। অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। আর ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।

স্থানীয়রা বলছেন, শীতের সকালে কিংবা সন্ধ্যায় চায়ের দোকানের সামনে মাফলার জড়ানো মুখগুলো দুই হাতে চায়ের কাপ ধরে উষ্ণতা নিচ্ছেন আর চা পান করছেন। শীতের সকালে চায়ের কাপে মুখ না দিয়ে বাড়ি থেকে কাজে বের হচ্ছেন না অনেকে। শীতে এক কাপ চায়ের একটু উষ্ণতা নিতে পাড়ার চায়ের দোকানে এখন শীতের সকালে উপচে পড়া ভিড়।

আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বেড়েছে শীত, কাঁপছে মানুষ

জেলা শহরের চা বিক্রেতা মাসুদ বলেন, দোকানে বেচা-বিক্রি সারা বছরই ভালো। তবে শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চায়ের বিক্রি-বাট্টাও বেড়েছে দ্বিগুণ।

যশোর

বৃহস্পতিবার সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরে শীতের প্রকোপ কিছুটা কমলেও সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে আবারও জেঁকে বসে। জেলার বিমানবাহিনীর আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, যশোরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে এবং শুক্রবার তাপমাত্রা আরও কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবদুস সামাদ নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। ঠান্ডার কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। আগুন পোহাতে পারলে ভালো হতো।’

আরও পড়ুন: পৌষের শীতে কাঁপছে রাজশাহী

বরিশাল

বরিশালে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে। জেলার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগে ৩৬টি বেডের বিপরীতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন ১২৩ জন। এ হাসপাতালে এক সপ্তাহে শ্বাসকষ্টে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। আর বরিশাল বিভাগে শ্বাসকষ্টে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৩ হাজার ১৮৭ জন।

এ ছাড়া খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কুয়াশা ভেদ করে কাজে যেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষকে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!