ধামরাইয়ে বিস্ফোরণ: আরও একজনের মৃত্যু
<![CDATA[
ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধের ঘটনায় সাদিয়া আক্তার (১৮) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে শিশুসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন।
তিনি জানান, জোছনার শরীরে ৭৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থানের সংলগ্ন দুতলা বাড়ির নিচ তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন- জোছনা বেগম (২৫), তার স্বামী গার্মেন্টস কর্মী মনজুরুল (৩২) মেয়ে মরিয়ম (১.৫), বোন হোসনা (৩০) এবং আরেক বোনের মেয়ে সাদিয়া (১৮)।
চিকিৎসাধীন শনিবার দিবাগত রাতে মারা যায় শিশু মরিয়ম। ভোরে মারা যান মরিয়মের মা জোছনা বেগম।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক নিহত
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বাকি দুজনের অবস্থাও গুরুতর।
তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া প্রতিবেশী মো. নিজাম শেখ জানান, ভোরে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচ তলা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচ তলায় গিয়ে দেখেন, বাসাটির ভিতর পাঁচজন দগ্ধ হয়ে কাতরাচ্ছে। আর আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। তখন তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
স্বজনদের ধারণা, ভোরে রান্নার জন্য উঠে আগুন জালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছেন তারা।
সাদিয়ার মামা কামাল হোসেন জানান, কিশোরগঞ্জ ভৈরবে মামার বাসায় থাকতেন সাদিয়া। উপজেলার জিল্লুর রহমান কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম মকবুল হোসেন। ধামরাইয়ে খালা জোছনার বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
]]>




