প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলার জন্য দায়ী বলসোনারো: লুলা দা সিলভা
<![CDATA[
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জেইর বলসোনারোকে দায়ী করেছেন প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা। ওই হামলায় প্রাসাদের কর্মীরা জড়িত থাকতে পারেন বলে ধারণা সিলভার। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। খবর
প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভা বলেন, প্রাসাদের ভেতর থেকে বলসোনারোর সমর্থকরা হামলাকারীদের সাহায্য করেছে। তারা প্রাসাদের ভেতরে হামলাকারীদের যেতে সহায়তা করেছে। তারাই বিক্ষোভকারীদের জন্য প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের দরজা খুলে দিয়েছে। সামরিক পুলিশের অনেক সদস্য হামলাকারীদের সহায়তা করেছে। এমনকি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের ভেতরে থাকা সামরিক বাহিনীর অনেকে ইন্ধন জুগিয়েছে বলেও ধারণা তার।
সিলভা বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ খুলে রাখা হয়েছিল যাতে বিক্ষোভকারীরা সেখানে ঢুকতে পারে। এটা মনে হওয়ার কারণ, প্রাসাদের সামনের কোনো ভাঙা দরজা আমার চোখে পড়েনি। এর মানে দাঁড়ায়, কেউ তাদের প্রবেশ করতে সহযোগিতা করেছে।’
কাউকে বলসোনারোর কট্টর সমর্থক হিসেবে সন্দেহ করা হলে তাকে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে থাকতে দেয়া হবে না বলেও জানান লুলা। তিনি বলেন, তাকে গুলি করতে পারে এমন কাউকে তিনি রাখবেন না অফিসে।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে বিক্ষোভ: শীর্ষ কর্মকর্তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ
গত রোববার (৮ জানুয়ারি) বিকেলে জইর বলসোনারোর হাজারো ডানপন্থি সমর্থক ব্রাজিলের রাজধানী ব্রাসিলিয়ায় কংগ্রেস ভবন, প্রেসিডেন্ট ভবন ও সুপ্রিম কোর্টে হামলা চালান। দেশটির জাতীয় রঙের পোশাক পরে এবং গায়ে জাতীয় পতাকা জড়িয়ে তারা হামলায় অংশ নেন। অনেকটা যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকদের ক্যাপিটলে চালানো তাণ্ডবের আদলে এই হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এরই মধ্যে দেড় হাজার মানুষকে আটক করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
এর আগে হামলার জন্য স্থানীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে দায়ী করেছিলেন লুলা দা সিলভা। তার দাবি, বলসোনারোর সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যান্ডারসন তোরেস দাঙ্গাকারীদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত থাকতে ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) আবারও লুলা একই দাবি করেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বলসোনারোর সমর্থক ও সেনা কর্মকর্তাদের দিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ ভরে গেছে। আমরা এখন এ অবস্থা পাল্টাতে চাই। যেন এসব পদে সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে পারি। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ।’
আরও পড়ুন: যেভাবে সৃষ্টি হলো এ পরিস্থিতি
সাবেক প্রেসিডেন্ট বলসোনারো বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় রয়েছেন। প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা আগেই বলসোনারো যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় যাওয়ার জন্য ব্রাজিল ছাড়েন। গত সোমবার (৯ জানুয়ারি) পেটে ব্যথা নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনি এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তবে হামলার দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি।
]]>




