বাংলাদেশ

বিনিয়োগ ছাড়াই দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ

<![CDATA[

কোনো বিনিয়োগ ছাড়াই আদানি গ্রুপ থেকে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ। তবে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পাশের রাজ্য ঝাড়খন্ড। যেখানে শুধু বাংলাদেশে বিদ্যুৎ রফতানির জন্য আদানি পাওয়ার লিমিটেড গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট উৎপাদন সক্ষমতার বৃহৎ কয়লাভিত্তিক প্রকল্প। সব ঠিক থাকলে আগামী মার্চ থেকেই এই বিদ্যুৎ পাবে বাংলাদেশ।

এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একক উৎস থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুৎ আন্তঃদেশীয় গ্রিডের মাধ্যমে যোগ হবে দেশের উত্তরাঞ্চলে। এর ফলে অনেকাংশে কমবে উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ ঘাটাতি।

আরও পড়ুন: দেশের অর্থনীতিতে ৫০ ভাগ এসএমইর অংশগ্রহণ থাকা জরুরি: বাণিজ্যমন্ত্রী

২০১৭ সালে এককভাবে বিদ্যুৎ ক্রয়ের জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি মাফিক আদানির এই প্ল্যান্ট থেকে ৮০০ মেগাওয়াটের দুটির মধ্যে একটি ইউনিট এখন প্রায় প্রস্তুত কাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ উৎপাদনে।

বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করে ভারতের ওড়িশায় আদানির নিজস্ব বন্দরে খালাসের পর রেল ওয়াগনে সেই কয়লা পৌঁছাবে গড্ডা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। সুপার ক্রিটিক্যাল টেকনোলজির মাধ্যমে কয়লা পুড়িয়েই উৎপাদিত বিদ্যুৎ আসবে বাংলাদেশে।

ঝাড়খন্ডের গড্ডা থেকে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে শুরু করে বগুড়া পর্যন্ত পাওয়া যাবে এই বিদ্যুৎ। তবে এর জন্য নির্মাণ করতে হয়েছে ২৪৫ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন। যার ৯৫ কিলোমিটার পড়েছে ভারতে। বাকি ১৫০ কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে।

সম্প্রতি এই প্ল্যান্টটি পরিদর্শনে কেন্দ্রটির খুঁটিনাটি দিক ঘুরে দেখেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ঝাড়খন্ডের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে যাওয়ার অপেক্ষা আর মাত্র ক’দিন জানিয়ে তিনি বলেন, মার্চের মাঝামাঝি সময়ের এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে নেয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। কম খরচে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এ ছাড়া সংকটের সময় এই বিদ্যুৎ দেশের জন্য সহায়ক হবে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন: বেনাপোল বন্দরে দালালদের দৌরাত্ম্য, ভোগান্তি

এদিকে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ প্রতিযোগিতামূলক দামে রপ্তানি করতে তারা বদ্ধপরিকর বলে দাবি করেছে আদানির গ্রুপ।

আদানি পাওয়ার লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অনিল সারদানা বলেন, আধুনিক প্রকল্প এবং বিশ্বব্যাংকের মান নির্ণায়ক সব সূচক মেনে তৈরি হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র।বাংলাদেশ এখান থেকে সব সময়ই স্বস্তায় বিদ্যুৎ পাবে বলেও জানান তিনি।

এই গড্ডা পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বাংলাদেশ এবং ভারতের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আগামী দিনে আরও সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!