কেমোথেরাপির পর ব্যাডমিন্টন খেলতেন সঞ্জয় দত্ত!
<![CDATA[
তিন বছর আগে ক্যানসার ধরা পড়ে সঞ্জয় দত্তের। তাতে তিনি ভয় পাননি। বরং চুল পড়া আর বমির মত বিষয়কে পাত্তা না দিয়ে কেমোথেরাপির পর সাইকেল চালাতেন অভিনেতা। তার পরে ২-৩ ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেলতেন।
লিভার ক্যানসারে নিজের মা কে চোখের সামনে তিলে তিলে শেষ হতে দেখেছিলেন সঞ্জয় দত্ত। মস্তিষ্কের ক্যানসারে তার স্ত্রী রিচা শর্মাও মারা গিয়েছিলেন। তাই নিজের যখন ক্যানসার ধরা পড়ল, সঞ্জয় অত্যন্ত নিস্পৃহ হয়ে গিয়েছিলেন। একচুল বিচলিত হননি মুন্নাভাই।
২০২০ সালে ‘শমশের’র শুটিং সেটেই সঞ্জয় নিশ্চিত হন তার ক্যানসার হয়েছে। কিন্তু একটুও বিচলিত হননি। কাজ করতে লাগলেন চুপচাপ। তার পর ছবির প্রচারে এসে নিজমুখেই জানিয়েছিলেন, মারণরোগ আবার বাসা বেঁধেছিল, কিন্তু তিনি পাত্তা দেননি। চিকিৎসকের কাছেও যেতে চাননি। যদিও তার বোন প্রিয়াঙ্কা দত্ত দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করান। তাই প্রাণে বেঁচে যান সঞ্জয়।
আরও পড়ুন: বিতর্কিত ‘পাঠান’ সিনেমায় কত পারিশ্রমিক নিলেন শাহরুখ?
করোনাকালীন লকডাউনের কোনো এক অলস দুপুরে হঠাৎ বোন প্রিয়াঙ্কা এসে মুন্নাভাইকে দুঃসংবাদ দেন। স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্ট বলছে ক্যানসার হয়েছে সঞ্জয়ের। শুনে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে থাকেন তিনি, তার পরই ঝেড়ে ফেলেন।
পরে দফায় দফায় আরও স্বাস্থ্যপরীক্ষা, এক্স রে রিপোর্ট আসতেই দেখা গেল, সঞ্জয়ের ফুসফুসে পানি জমে আছে। পরিবারের আশংকা ছিল, হয়তো যক্ষ্মা হয়েছে অভিনেতার। কিন্তু পরে নিশ্চিত জানা গেল ক্যানসারই হয়েছে।
২০২০ সালের আগস্টে সঞ্জয় সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমার ছেলে- মেয়েদের সব থেকে ভালো উপহার দিতে চলেছি। নিশ্চিতভাবে বেঁচে ফিরব আমি।’
আরও পড়ুন: হৃতিকের জীবনে জড়িয়ে আছেন দুই নারী!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিন বছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতির কথা শেয়ার করেছেন ‘কেজিএফ-২’ অভিনেতা। কীভাবে মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন তিনি, কেমন করে কেমোথেরাপি নিয়েও জারি রেখেছিলেন শরীরচর্চা— সবকিছুই বলেন এদিন।
সঞ্জয় ভেবেছিলেন বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করাবেন। কিন্তু ভিসা পাননি। পরে অভিনেতা হৃতিক রোশনের বাবা, অভিনেতা-প্রযোজক রাকেশ রোশন ভালো এক ক্যানসার বিশেষজ্ঞের খোঁজ দেন। সঞ্জয় হেসে বলেন, যখন ডাক্তার তাকে চুলপড়া এবং বমির বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন, তখন তিনি বলেছিলেন ‘আমার কিছুই হবে না।’
শুধু তা-ই নয়, প্রত্যেকবার কেমোথেরাপির পরে রোজ এক ঘণ্টা বসে বসে সাইকেল চালাতেন অভিনেতা। দুবাইয়ে কেমোথেরাপি নিতেন। তার পরে ২-৩ ঘণ্টা ব্যাডমিন্টন খেলতেন।
বর্তমানে ‘গুরচাদি’ ছবির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন সঞ্জয় দত্ত।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা
]]>