নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিসম্পত্তির ওপর পৌরমার্কেট নির্মাণ
<![CDATA[
পৌরসভাকে ব্যবহার করে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির ওপর মার্কেট নির্মাণ করছে প্রভাবশালী মহল। এতে ভেঙে ফেলা হয়েছে কোটি টাকারও বেশি মূল্যে ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মিত একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। আর এ নিয়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে ভুক্তভোগী এবং স্থানীয়দের মাঝে।
২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ভান্ডারিয়া পৌরসভা গঠন করা হয়। এরপর একই বছরের ১০ নভেম্বর আরেকটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসক হিসেবে ভান্ডারিয়া পৌরসভার দায়িত্ব দেয়া হয়।
পরে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ ভারত সরকারের সহায়তায় ১১ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় নবগঠিত পৌরসভায় নির্মিত ১১টি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরমধ্যে একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছিল ভান্ডারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গুদাম নির্মাণ
জমির মালিক দাবিদার জাকির উদ্দিন সাবু জানান, ভান্ডারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পুরনো ভবন ভেঙে সেখানে নির্মাণকাজ শুরু করা হয় ভান্ডারিয়া পৌর মার্কেটের। এজন্য সেখানে স্থাপিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি খুলে ফেলা হয়। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি ব্যক্তিগত জমির ওপর থাকলেও, সেখানে পুনরায় মার্কেট নির্মাণে জমির মালিকদের কাছ থেকে কোনো প্রকার অনুমতি নেয়া হয়নি। এমনকি তাদের আপত্তি উপেক্ষা করেই সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট। শুধু তাই নয়। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও, তার কোনো তোয়াক্কা না করেই নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট ভবন।
কুয়েক ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে পাঁচ তলা ফাউন্ডেশন ভিত্তিক মার্কেট।
অন্যদিকে, ভান্ডারিয়া পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে মার্কেটটি নির্মাণ করা হচ্ছে বলে দাবি মার্কেট নির্মাণের সঙ্গে জড়িতদের।
আরও পড়ুন: বরিশালে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট উদ্বোধন হলেও চালু হয়নি
এছাড়া মার্কেটের জমির মালিকানা পৌরসভা কিংবা ইউনিয়ন পরিষদের এ রকম কোন প্রমাণাদি দেখাতে পারেনি ভবনটির নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত ঠিকাদার।
ভান্ডারিয়া পৌরসভা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. সাইফুল ইসলাম জানান, নির্মাণ কাজ শেষ হলে পুনরায় সেটি মার্কেট ভবনের দ্বিতীয় তলায় স্থাপন করা হবে।
তবে দীর্ঘদিন পড়ে থাকার পর পুনরায় ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি স্থাপন করা সম্ভব হবে না বলে ধারণা স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন: ব্যক্তিগত জমি খাসের বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া পৌরসভার তৎকালীন প্রশাসক সীমা রাণী ধর জানান, তিনি প্রশাসক থাকাকালীন আদালতের নিষেধাজ্ঞা পেয়ে উভয়পক্ষকে ডেকে মার্কেট নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি প্রশাসকের দায়িত্বে নাই।
]]>