বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরস্থানে জায়গা সংরক্ষণ করবে ডিএনসিসি
<![CDATA[
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি সংরক্ষণের লক্ষ্যে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের বর্ধিত অংশের ১.৫ একর জায়গা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। সেখানে শুধুমাত্র প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাফন করা হবে।
এছাড়াও মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সংরক্ষিত বিশেষ এলাকায় মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। তবে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ইচ্ছানুযায়ী ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের যে কোনো কবরস্থানে কবর সংরক্ষণ করা যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কবরাস্থানসমূহের নীতিমালা-২০২২ অনুযায়ী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য কবরাস্থানে জায়গা নির্ধারণ ও সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
নীতিমালায় আরও উল্লেখ রয়েছে যে, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত সাধারণ কবরে দাফনের ক্ষেত্রে প্রমাণ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত তালিকায় নাম থাকতে হবে এবং যথাযথ সনদ দাখিল সাপেক্ষে কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে দাফন করা যাবে।
আরও পড়ুন : কবরস্থান নিয়ে ডিএনসিসির নতুন নির্দেশনা
তবে, আবেদনের প্রেক্ষিতে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম ১০ (দশ) বছর ফি ব্যতীত কবর সংরক্ষণের পর পরবর্তী সময়ের জন্য নির্ধারিত হারে ফি প্রযোজ্য হবে। তবে, কেবলমাত্র রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধ সংলগ্ন কবরস্থানে দাফনকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর আজীবন সংরক্ষিত থাকবে। এ লক্ষ্যে পর্যাপ্ত সংখ্যক লেন (অথবা জায়গা) আলাদাভাবে চিহ্নিত করা থাকবে।
উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কবরাস্থানসমূহের নীতিমালা-২০১৮ এর পরে নীতিমালা-২০২২ প্রণয়ন করা হলো। ডিএনসিসির সচিব ড. মোহাম্মদ মাহে আলমের স্বাক্ষরিত নীতিমালা-২০২২ চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
]]>