বাংলাদেশ

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শয্যা ৫ হাজারে উন্নীত হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

<![CDATA[

সরকার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা ৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

রোববার (২২ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য দিদারুল আলমের টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ৬শ’ শয্যার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যক রোগী চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করার ফলে এই হাসপাতালে রোগী ও স্বজনদের থাকা-খাওয়া ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে কিছুটা অসুবিধা হয়। তবে সরকার রোগীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতে ডিএমসির শয্যা ৫ হাজারে উন্নীত করার পরিকল্পনা সরকার গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন : এক হাজার শয্যায় উন্নীত হচ্ছে পুরনো বড় হাসপাতাল

সরকারি দলের অপর সদস্য কাজিম উদ্দিন আহাম্মেদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, দেশে ৫ হাজার ৫৮৯টি অনুমোদিত ক্যাডার পদের বিপরীতে শূন্য পদ ২ হাজার ৬০৫টি। সংযুক্ত হিসাবে কর্মরত রয়েছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন।  

তিনি জানান, বর্তমানে মেডিকেল কলেজগুলোতে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ করা হয় না। মেডিকেল কলেজের প্রভাষক পদে মেডিকেল অফিসার থেকে বিষয়ভিত্তিক পদায়ন করা হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ থেকে বেসিক বিষয়ে চলতি দায়িত্ব প্রদানের মাধ্যমে ৩৬৯ জনকে সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী অধ্যাপক পদে বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে পদায়ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : ঢাকাতে অনুমোদনহীন কোনো ক্লিনিক নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

এছাড়া সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসানের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, দেশের সব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সর্বমোট শয্যা সংখ্যা ১৯ হাজার ৩০০টি। উপজেলা হাসপাতালগুলো পরিচালনার জন্য ওষুধপত্রসহ এমএসআর খাতে বেড অকুপেন্সি রেট অনুয়ায়ী রাজস্ব বাজেট থেকে বছরে টাকা বরাদ্দ করা হয়ে থাকে এবং বরাদ্দকৃত টাকার মধ্যে ৭০ শতাংশ টাকা ওষুধ বাবদ ব্যয় করা হয়। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে ৪২৯ কোটি ৮৩ লাখ ২৮ হাজার ৮০০ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, সরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজের ফি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি মেডিকেল কলেজে টিউশন ফি নির্ধারণের বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। সে নির্দেশনা অনুসরণ করে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করে থাকে। এ বিষয়গুলো মনিটরিংয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!