উদ্বোধনের ৪ ঘণ্টা পর করাত কল ভেঙে দিল বনবিভাগ
<![CDATA[
উদ্বোধনের মাত্র ৪ ঘণ্টা পর অবৈধ করাত কল ভেঙে দিয়েছে বনবিভাগ। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলায় উপজেলার বকুলতলা গ্রামের এইচ এম মিঠুর স্থাপিত করাত কলটি ভেঙে দেয়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের শরণখোলা ষ্টেশন কর্মকর্তা সুফল রায়।
এর আগে সকাল ১১ টার দিকে শরখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দীন শান্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে করাত কলটি উদ্ধোধন করেন।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৫ করাত কলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
সুফল রায় সময় সংবাদকে জানান, সুন্দরবন সংলগ্ন ১০ কিলোমিটারের মধ্যে লোকালয়ে করাতকল স্থাপন নিষিদ্ধ। আইন অমান্য করে উপজেলার বকুলতলা গ্রামে হুমায়ূন হাওলাদার ও মিঠু নামের দুই ব্যাক্তি একটি করাত কল স্থাপন করেন। ফলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ করাত কলটি ভেঙে দেয়া হয়েছে। করাত কলটির যন্ত্রপাতি জব্দ করে রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ব্যাপারে বন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বনবিভাগের অনুমোদন ছাড়াই গাছ বিক্রি
করাত কল মালিক এইচ এম মিঠু জানান, সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী ১০ কি.মি. লোকালয়ে অন্তত ৩০টি করাত কল রয়েছে। যা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে চালানো হচ্ছে। পাশেই নুরুল হক আড়ৎদার ও আ. মালেক মুন্সি নামের দুই ব্যক্তি অবৈধভাবে দুটি করাত কল চালাচ্ছে। তাদেরটা ভাঙা হচ্ছেনা।
তাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে স্থাপনের পরপরই তাদের কলটি ভেঙে ফেলা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভালুকায় রয়েছে শ’খানেক অবৈধ করাত কল
মুক্তিযোদ্ধা মো. তোফাজ্জেল হোসেন ব্যাপারী জানান, একই স্থানে দুই ধরনের নীতি গ্রহণযোগ্য নয়। কারো স’মিল চালু হবার আগেই ভেঙে দেয়া হল আর তারই পাশে অবৈধভাবে আরও কয়েকটি স’মিল বছরের পর চলছে এটা হতে পারে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ষ্টেশন কর্মকর্তা সুফল রায় জানান, বন সংলগ্ন এলাকায় আরও অনেক অবৈধ করাত কল রয়েছে। যা অচিরেই ভেঙে দেয়া হবে।
]]>




