কলাগাছ থেকে সুতার সম্ভাবনার কথা বললেন ডিসিরা: বস্ত্রমন্ত্রী
<![CDATA[
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, কলাগাছের আঁশ থেকে সুতা তৈরির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা (ডিসি)। সরকার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছে।
বুধবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে ডিসিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
আরও পড়ুন: সুতার দাম বাড়ায় হুমকির মুখে তাঁতশিল্প
মন্ত্রী বলেন, ‘তারা (ডিসিরা) বলেছেন: আমাদের কলাগাছ থেকে সুতা উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া যায় কি না। আমরা বলেছি, আমাদের দেশে প্রচুর কলাগাছ হয়। কলাগাছ থেকে সুতা করা যায়। আমরা এটা নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলব। যদি সম্ভব হয়, তাহলে তুলার বিকল্পে আমরা কলাগাছের সুতাও কাজে লাগাব। তুলার বিকল্প হিসেবে কলাগাছের আঁশ কাজে লাগানো যাবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় প্লাস্টিকের বস্তার ব্যবহার অনেক বেড়ে গিয়েছিল। পরে আমরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়ে নির্দেশনা জারি করে পাটপণ্যের ব্যবহার বাড়িয়েছি। প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের ব্যাগের ব্যবহার শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইদানীং ভারত থেকে প্রচুর চাল আমদানি করা হচ্ছে। সেসব চাল প্লাস্টিকের ব্যাগে আসে। এই সুযোগে দেশীয় চালগুলো তারা প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে দিচ্ছে। আমরা বলেছি কেবল ভারতীয় চাল প্লাস্টিকের ব্যাগে থাকবে। দেশীয় চাল আগের মতোই পাটের ব্যাগে বিক্রি করতে হবে।’
পাটের ব্যবহার বাড়াতে সরকারের উদ্যোগগুলো নিয়েও সম্মেলনে আলোচনা হয়।
মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা বন্ধ হয়ে যাওয়া পাটকলগুলোর ব্যবস্থাপনা হাতবদল হওয়ার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের পাওনা বুঝে পাওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন। ৬০ হাজার শ্রমিককে গোল্ডেন হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে পাওনা বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুতার দাম কমলেও টাঙ্গাইলের শাড়ির কাঙ্ক্ষিত বেচাবিক্রি হচ্ছে না
তিনি বলেন, ‘আমাদের পাটকল গুলো সরকারি মালিকানায় রেখে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে ৬টি মিলের ব্যবস্থাপনা খুঁজে পাওয়ার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছি। সেটা এখন প্রক্রিয়াধীন। আজ টেন্ডার ওপেন হবে, তখন বোঝা যাবে। আরও ১১টি মিলের ক্ষেত্রে আমরা টেন্ডার দিয়েছি। আগামী ২৫ তারিখ এগুলোর টেন্ডার হবে।’
]]>




