মাওয়ায় সরবরাহ বাড়লেও বেড়েছে ইলিশের দাম
<![CDATA[
ছুটির দিনে মুন্সীগঞ্জে পদ্মাপাড়ের মাওয়া মৎস্য আড়তে চলছে রুপালি ইলিশের জমজমাট বেচাকেনা। তবে ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকলেও বেড়েছে দাম।
মাওয়ায় শীত আর কুয়াশা উপেক্ষা করেই ভোর থেকে ইলিশের পসরা নিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। ইলিশের সরবরাহ থাকলেও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। প্রতি কেজি ইলিশের দাম হাঁকা হচ্ছে ১ হাজার ২০০ টাকা।
এদিকে ছুটির দিনে ইলিশ কিনতে পাইকারদের সমাগম বেড়েছে। আর ক্রেতারাও রুপালি ইলিশের স্বাদ নিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসছেন এই হাটে।
আরও পড়ুন: শীত কমলে সরবরাহ বাড়বে, কমবে মাছের দাম!
তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো হয়েছে। আবার উপকূলীয় ইলিশকে পদ্মার ইলিশ বলে চালিয়ে দেয়ারও চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা। তবে সিন্ডিকেটের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আড়তদারা।
মৎস্যসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার মাঘ মাসেও প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে কারেন্ট জাল বন্ধ করা গেলে ইলিশের উৎপাদন আরও বাড়বে।
আর প্রশাসন বলছে, কারেন্ট জাল বন্ধ করে জাটকা সংরক্ষণে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পেঁয়াজের বাজারে ধস
এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল আউয়াল বলেন, নদীতে কারেন্ট জাল ব্যবহার করা হলে জাটকা নদীতে থাকতে পারে না। তাই জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা নদী থেকে কারেন্ট জাল অপসারণ করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
জেলায় গেল এক বছরে ২ হাজার ১৯৫ টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। আর এর বড় একটি অংশ বিক্রি হচ্ছে এই ইলিশের হাটে। প্রতিদিন এখানে দুই থেকে তিন ঘণ্টায় বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার মাছ।
]]>




