Chittagong (চট্টগ্রাম)
আসামি ধরতে গিয়ে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার
নিজস্ব প্রতিনিধি :
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি ধরতে গিয়ে তার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর, ঘরের আলমারি ভেঙে টাকা-স্বর্ণালংকার ‘লুটের’ অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব মোরশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে তাকে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে আসামির স্ত্রীর অভিযোগের সত্যতা পেয়ে রোববার (১৭ এপ্রিল) রাতে এসআই মাহবুরের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সীতাকুণ্ড সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত ওই আসামি হলেন সীতাকুণ্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখীল গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম। তার স্ত্রী খালেদা আক্তার রোববার এসআই মাহবুব মোরশেদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জায়গা-জমি সংক্রান্ত পারিবারিক বিরোধের একটি মামলার আসামি নুরুল ইসলামকে গ্রেফতারি পরোয়ানামূলে ধরতে শনিবার দুপুরে তাদের বাড়িতে যান এসআই মাহবুব মোরশেদ, সোর্স নুরুজ্জামান ও সাদা পোশাকে থাকা দুই পুলিশ সদস্য। ঘরে ঢুকেই মাহবুব গালিগালাজ শুরু করেন। নুরুল ইসলামকে খুঁজে না পেয়ে তার স্ত্রীকে আলমারির চাবি দিতে বলেন। তিনি চাবি না দিলে তাকে লাথি দেন।
চাবি দেওয়ার পর আলমারি খুলে ১ লাখ ৪২ হাজার টাকা, আট আনা স্বর্ণালংকার, দুটি মোবাইল এবং সন্তানদের জন্মনিবন্ধন ও শিক্ষাগত বিভিন্ন সনদ নিয়ে যান। সেগুলো নেওয়ার সময় বাধা দিলে নুরুল ইসলামের এক ছেলেকেও মারধর করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুল করিম বলেন, ‘শনিবার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত আসামির স্ত্রী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। প্রাথমিক তদন্তে আমরা এসআই মাহবুব মোরশেদের অপেশাদার আচরণের সত্যতা পেয়েছি। এ জন্য তাকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে। তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তবে অভিযুক্ত এসআই মাহবুব মোরশেদ আসামির স্ত্রীর অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন।