মাদারীপুরের শিবচরে শিফট-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন
<![CDATA[
মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায় ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির (শিফট) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী ও আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এই ভিত্তিপ্রস্তরের ফলক উন্মোচন করেন।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘দেশের সর্বপ্রথম ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিভিত্তিক বিশেষায়িত ও ডেডিকেটেড একাডেমিক ইনস্টিটিউশনের মাধ্যমে মাদারীপুরকে আধুনিক ও স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর এখন আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে চাই। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, যেটি হবে সোনার বাংলার প্রতিরূপ।’
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, যার চারটি মূলস্তম্ভ হলো স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। দুর্নীতিমুক্ত জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা প্রণয়ন করে একটি স্মার্ট ইকোনমি তৈরি করা সম্ভব হবে। সরকারের সব কার্যক্রমে পেপারলেস অফিস বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে একটি স্মার্ট গভর্নমেন্ট তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: হাইড্রোজেন ফুয়েলের যুগে প্রবেশের চূড়ান্ত পর্যায়ে বাংলাদেশ
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘আমাদের মেধাবীদের প্রস্তুত করার জন্য শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজিতে যেসব বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করা হবে, সেগুলোর মধ্যে বায়োটেকনোলজি, ন্যানোটেকনোলজি, নিউরোটেকনোলজি, সাইবার সিকিউরিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব রোবোটিক্স থিংস, ব্লক চেইন, ডেটা সায়েন্স, হাইপার অটোমেশন, টেকনোলজিক্যাল এথিক্স, বিহেভিয়ার অ্যান্ড এক্সপেরিয়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ইনোভেশন ও এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অন্যতম।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী মাদারীপুরে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’ স্থাপনের উদ্যোগ নেয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ অঞ্চলের মানুষ শিক্ষায় অত্যন্ত অনগ্রসর এবং বিদেশমুখী। এই অঞ্চলের তরুণ-তরুণীদের আইটিতে দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তোলা গেলে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে; এর ফলে দেশে থেকেই আমাদের তরুণ-তরুণীরা বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে যেকোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে এই এলাকার সন্তান হিসেবে আমি এবং আমার জনগণ পাশে আছি, থাকব।’
বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (গ্রেড-১) ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ঠিক পাশেই মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় প্রায় ৭০ দশমিক ৩৪ একর জায়গাজুড়ে ‘লার্নিং বাই ডুইং’ বা ‘এক্সপেরিয়েনশিয়াল লার্নিং’ শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে লার্নিং কমিউনিটিভিত্তিক ইনোভেশন কালচার চর্চার পাশাপাশি দেশের প্রথম জিরো ওয়েস্ট ও এনভায়রনমেন্টালি সাসটেইনেবল ক্যাম্পাস হিসেবে শিফটকে প্রতিষ্ঠা করা হবে।
আরও পড়ুন: ৩০০ রোবোটিকস ক্লাব তৈরি করছি: পলক
এদিকে প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম (যুগ্ম সচিব) জানান, ছয়তলা গবেষণা ভবন, চারতলা একাডেমিক ভবন, তিনতলা প্রশাসনিক ভবন, শিক্ষক-ছাত্রদের জন্য ডরমিটোরি ভবন, ছয়টি বিশেষায়িত ল্যাব শিফটের আওতায় নির্মাণাধীন প্রধান অবকাঠামো।
ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিভিত্তিক পুরো বিশ্বের একটি একাডেমিক রোল মডেল হিসেবে শিফটের পরিকল্পনা করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব শিক্ষার্থীর মধ্যে লিডারশিপ স্কিল গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে প্রত্যেকের জন্য পছন্দের যে কোনো বিষয়ে বাৎসরিক একটি ক্লাস পরিচালনা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অ্যাকটিভ লার্নিং এনভায়রনমেন্ট নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভার্ব ও নোড ক্লাসরুম প্রযুক্তির অনুরূপ এর্গোনমিক ফার্নিচারস অ্যান্ড টুলসের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এবং স্থানীয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
]]>




