ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে গাইবান্ধার বিসিক শিল্পনগরী
<![CDATA[
ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে গাইবান্ধার বিসিক শিল্পনগরী। বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ায় বিসিকের ৩৮টি প্রতিষ্ঠানে চলছে উৎপাদন। এসব উৎপাদিত পণ্য জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
বিদ্যুৎ, ড্রেনেজ, যোগাযোগসহ বিভিন্ন সমস্যায় দীর্ঘদিন মুখ থুবড়ে পড়ে ছিল গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরী। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যাবস্থাসহ সার্বিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি পাওয়ায় দেড় যুগ পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এ শিল্পনগরী।
পাটের আঁশ থেকে বস্তা তৈরির জুট মিল, তুলা তৈরি, আটা, ময়দা, সুজির কারখানা, সরিষার তেল, অটো রাইস মিল, চিড়া-মুড়ির কারখানা, ওষুধ, কীটনাশক এবং বেকারিসহ বিভিন্ন কারখানার উৎপাদিত পণ্য জেলার চাহিদা মিটিয়ে এখন যাচ্ছে অন্য জেলায়।
স্বল্পমূল্যে শ্রমিক ও কাঁচামাল আনা নেয়ার সুবিধা পাওয়ায় নতুন কারখানা ও উদ্যেক্তারা এগিয়ে আসছেন এ শিল্পনগরীতে। চলছে আরও বেশ কয়েকটি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নির্মাণ কাজ। শীঘ্রই শুরু হবে তাদেরও উৎপাদন ও বিক্রয় কার্যক্রম।
আরও পড়ুন: পদ্মাসেতু ও পায়রা বন্দর ঘিরে পাল্টে যাচ্ছে পটুয়াখালী শিল্পনগরীর চেহারা
এদিকে, বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদন শুরু হওয়ায় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক শতাধিক বেকার নারী-পুরুষের। অনেকে আগে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় কাজ করলেও এখন সেখান থেকে এসে কাজ করছেন এলাকায়। পড়ালেখার পাশাপাশি পারিবারিক চাহিদা মেটাতে কাজ করছেন অনেক শিক্ষার্থীও।
বিসিক গাইবান্ধার সহকারী মহাব্যবস্থাপক রবিন রায় জানান, জেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও শিল্পায়ন বাড়াতে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিসিকে স্বল্প মূল্যে প্লট বিতরণ, আর্থিক সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়ায় উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসছেন।
গাইবান্ধা বিসিক শিল্পনগরীতে ৫০টি প্লট রয়েছে যার ৩৮টি প্লটের কারখানায় উৎপাদন চলছে। বাকি ১২টি কারখানায় উৎপাদনের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
]]>