ফেনীর সোনাগাজীতে আবারও ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে গরু লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। বুধবার (১২ জুন) রাত ১টার দিকে সোনাগাজীর মির্জাপুর গ্রামের আবুল কালাম জিন্নাহর অস্থায়ী খামারে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে গত শুক্রবার (৭ জুন) রাতে দাগনভূঞার রাজাপুর ইউনিয়নের জয়নারায়ণপুর গ্রামের একটি খামারের কর্মচারীদের বেঁধে রেখে সেখান থেকে ১৩টি গরু লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
জানা যায়, রাত ১টার দিকে আবুল কালাম জিন্নাহর অস্থায়ী খামারে ডাকাতরা হানা দেয়। এ সময় তার কর্মচারী আব্দুল কাদের ও জিন্নাহকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে ডাকাতরা। এ সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ১১টি গরুর মধ্যে দুটি লুট করে নিয়ে যায় তারা। গরু ব্যবসায়ী আবুল কালাম জিন্নাহর হাতে ও পায়ে কোপের আঘাত রয়েছে।
খামারের কর্মচারী আব্দুল কাদের জানান, রাত ১টার দিকে ১০-১২ জনের ডাকাত দল খামারে হানা দেয়। তাদের প্রত্যেকের হাতে ধামা কিরিচ ও মুখে মুখোশ ছিল।
গরু ব্যবসায়ী আবুল কালাম জিন্নাহ জানান, কিছু টাকা লাভের আশায় তিনি ৩৬ লাখ টাকার গরু কিনেছিলেন। এখন লাভতো দূরে থাক মূলধন তুলতে হিমশিম অবস্থা।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদল জানান, আমরা আগে থেকে গ্রামপুলিশ ও মেম্বারদের দিয়ে গ্রামে গ্রামে পাহারা বসিয়েছিলাম, কিন্তু রাতে বৃষ্টি হওয়ার কারণে ১০ মিনিটের সুযোগে ডাকাতরা গরু লুট করে নিয়ে সড়কে উঠে যায়। যার কারণে ধরা সম্ভব হয়নি। আগামীতে গ্রাম পুলিশ দিয়ে আমরা টহল আরও জোরদার করবো।
এ ব্যাপারে সোনাগাজীর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সুদীপ রায় জানান, ঘটনাটি শুনে তিনি টহল দল পাঠিয়েছেন। সম্ভবত ডাকাত দল গাড়ি নিয়ে গ্রামের দিকে ঢুকে গেছে। যার কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ দেয়নি।
পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গত এক বছরে জেলায় ৬২টি গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে ২৩টি। তবে জেলায় চুরি হওয়া গবাদিপশুর সংখ্যা ও ঘটনা কয়েকগুণ বেশি।
