ফেনীতে ঈদের দিনে পৃথক ঘটনায় ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার ১৭ জুন ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে সাগর চৌধুরী শিরিনা আক্তার (১৯), সাইফুল ইসলাম (২১) ও আনুমানিক ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে ফেনী মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার বিকালে ফেনী শহরের মাষ্টারপাড়া এলাকায় ডোবা থেকে অজ্ঞাত এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে জানা যায়, উদ্ধার করা মরদেহটি ফেনী শহরের প্রতিবন্ধী ভিক্ষুক ছেরাজুল হকের ১২ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী নাতি সাগর চৌধুরীর। সাগরের বাবার নাম গোলাপ চৌধুরী ও মায়ের নাম আমেনা বিবি। সে গত পাঁচদিন যাবত নিখোঁজ ছিল। সাগরের মা-বাবা কেউ নেই। সত্তর বছর বয়সী বৃদ্ধ ছেরাজুল হক তার নাতিকে নিয়ে ফেনী শহরের দাউদপুল ব্রীজ এলাকায় বসবাস করেন।
অপরদিকে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ সংলগ্ন ড্রেন থেকে ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অন্য দুই মরদেহের মধ্যে ফেনী শহরের চাড়িপুর এলাকা থেকে শিরিনা আক্তার (১৯) নামে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি ফাঁসির মাধ্যমে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা যায়। তিনি বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ এলাকার অলিউর রহমানের স্ত্রী।
এছাড়া সোমবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের জাহানপুর এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সাইফুল ইসলাম (২১) নামে এক যুবক মারা যায়। তিনি জাহানপুর এলাকার নিজাম উদ্দিনের ছেলে। মরদেহ ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।
ফেনী মডেল থানার ইন্সপেক্টর (অপরেশন) মো: সফিকুল ইসলাম জানান, মরদেহ গুলো ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। সবগুলো ঘটনায় উদ্ধারকৃত মরদেহের কোন স্বজন এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি।