খেলা

মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে রাজা চার্লসের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন

<![CDATA[

ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে বিশ্বজুড়েই এক পরিচিত মুখ চার্লস। তিনি সদ্য প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে। এতদিন তার পরিচয় ছিল প্রিন্স চার্লস বলে। রানির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন তিনি। এখন তার পরিচয় রাজা তৃতীয় চার্লস।

সাংবিধানিকভাবে ব্রিটিশ রাজপরিবারের রাজনীতির বাইরে থাকার কথা। তবে মধ্যপ্রাচ্য প্রশ্নে রাজপরিবারকে প্রায়ই নাক গলাতে দেখা যায়। এটা এখন আর গোপন কোনো বিষয় নয়। চার্লস গত কয়েক দশক ধরে উপসাগরীয় দেশগুলোর ক্ষমতাসীন সরকার বিশেষ করে শাসক পরিবারগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রেখে এসেছেন।

ফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলদারিত্বের ব্যাপারে ব্রিটিশ সরকার চুপ থাকলেও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের ব্যাপারে বরাবরই একটা সহানুভূতি প্রকাশ করে আসছেন তিনি। রাজা হিসেবে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে তার নীতি বা দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে তা এখনই বলা কঠিন। তবে অতীতে এ অঞ্চলের বিভিন্ন ইস্যুতে তার ভূমিকা পর্যালোচনা করলে তার কিছুটা ধারণা পাওয়া সম্ভব।

মধ্যপ্রাচ্যে ব্রিটিশ অস্ত্র রফতানি

আল জাজিরার এক প্রতিবেদন মতে, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের পাশাপাশি এ অঞ্চলে ব্রিটিশ সমরাস্ত্র রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা রেখেছেন চার্লস। অস্ত্র রফতানি বিষয়ক এক রিপোর্টের বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক এ সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গত এক দশকে উপসাগরীয় রাজতান্ত্রিক দেশগুলোতে ব্রিটেন প্রায় ১ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রি করেছে। আর বিশাল অঙ্কের এ অস্ত্র রফতানির ক্ষেত্রে চার্লসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল।

ফিলিস্তিনিদের প্রতি সহানুভূতি

ইসরাইলি দখলদারিত্বের কারণে গত ৭০ বছর ধরে নজিরবিহীন দুর্ভোগ-যন্ত্রণা পোহাচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণ। এ ব্যাপারে ব্রিটিশ রাজনীতিকরা বরাবরই চুপি থাকলেও চার্লসকে প্রায়ই তাদের ব্যাপারে সরব দেখা গেছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীর সফর করেন চার্লস। এ সময়ও ফিলিস্তিনিদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে তিনি বলেন, ‘আমার এটা প্রার্থনা যে, ভবিষ্যতই ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও সমান অধিকার নিশ্চিত করবে।

২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের বিরোধিতা

২০০৩ সালে ইরাকে আগ্রাসন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এ আগ্রাসনে মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে যোগ দেয় ব্রিটিশ বাহিনীও। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে ‘বিধ্বংসী অস্ত্র’ রাখার অভিযোগে এ আগ্রাসনের সিদ্ধান্ত নেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার। তবে সেই সময় এ আগ্রাসনের বিরোধিতা করেছিলেন চার্লস। ব্রিটিশ সাংবাদিক রবার্ট জবসনের লেখা এক বইতে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। 
 

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!