বিনোদন

সীমান্ত ঘেঁষে থামছে না মিয়ানমারের গোলাগুলি, আতঙ্ক বাড়ছেই

<![CDATA[

বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এখনো সংঘর্ষ থামেনি। ২৫ দিনের বেশি সময় ধরে তুমব্রু সীমান্তে প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে গোলাগুলি ও গোলার শব্দ।

রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালেও থেমে থেমে চলেছে গোলাগুলি। তবে তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার কাঁটাতারের বেড়া ঘেঁষে টিলার ওপর মিয়ানমার সেনাদের ঘাঁটি হওয়ায় চরম আতঙ্কে আছেন সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা।

তবে এ মুহূর্তে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে না জড়িয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে সমস্যার সমাধান করতে হবে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, সীমান্তে বাংলাদেশের অভ্যন্তর থাকে সবসময় শান্ত। কিন্তু মিয়ানমার অংশে এখন প্রতিনিয়ত চলছে গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণ। তার ওপর সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার সৈন্যরা বসিয়েছে বাঙ্কার, করেছে ঘাঁটি। যেখান একে-৪৭, মর্টার হাতে ভারী অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে সৈন্যরা। এ অবস্থায় শূন্যরেখায় অবস্থান করা রোহিঙ্গারা রয়েছেন চরম আতঙ্কে।

শূন্যরেখার রোহিঙ্গা নুরুল আমিন বলেন, ‘এদিক থেকে গুলি হচ্ছে, ওদিক থেকে গুলি হচ্ছে, কখন কোথায় গিয়ে পড়ছে কেউ তো বলতে পারছে না। ভয়ের মধ্যেই আছি। এখন কী করব, দেশ ও গ্রাম ফেলে চলে এসেছি, থাকব কোথায়? ভয় হলেও শূন্যরেখায় থাকতে হচ্ছে।’

আরও পড়ুন: কৃষকের উঠোনে মিয়ানমারের ভারী অস্ত্রের গুলি, সীমান্তে আতঙ্ক

আরেক রোহিঙ্গা সিরাজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তের পাশ ঘেঁষে কাঁটাতার, তার পাশে টিলার ওপর মিয়ানমার সেনাদের ঘাঁটি। যদি বোমা একটা শূন্যরেখায় এসে পড়ে, তাহলে তো সবাই শেষ। প্রতিদিনই ঢেকুবনিয়া থেকে বোমা মারছে, তুমব্রু থেকে বোমা মারছে, মেদা থেকে মারছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর নুরুল আবছার বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনী নানা ধরনের কর্মকাণ্ড করছে, যা তার দেশের নাগরিকদের বিশ্বস্ততা অর্জন করার জন্য। তবে মিয়ানমার সেনাদের এমন আচরণে না জড়িয়ে কূটনৈতিক চ্যানেলে এ সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটতে হবে বাংলাদেশকে।

এ পরিস্থিতিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘সরকার কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে মিয়ানমারের আর কোনো নাগরিককে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। আর মিয়ানমারের ছোড়া গোলা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশের ভূমিতে পড়েছে। আমাদের সরকার দেশটির রাষ্ট্রদূতকে তলব করে জোর প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে।’

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত রয়েছে ২৭১ কিলোমিটার। যার মধ্যে স্থল ২০৮ ও জলসীমা ৬৩ কিলোমিটার। আর মিয়ানমারের সঙ্গে কক্সবাজার অংশে সীমান্তে রয়েছে ১৬৩ কিলোমিটার। এর মধ্যে স্থল ১০০ ও জলসীমা ৬৩ কিলোমিটার।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!