মিয়ানমারে সংঘর্ষে ৮৫ সেনা নিহত
<![CDATA[
প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে চারদিনের তীব্র লড়াইয়ে ৮০ জনেরও বেশি সেনাকে হারানোর পর মিয়ানমারের দক্ষিণ শান রাজ্যের পেকনের ছোট শহর মোয়েবিতে বিমান ও কামান হামলা চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী।
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ ও দক্ষিণাঞ্চলীয় শান রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তথ্য সংগ্রহকারী স্থানীয় মানবাধিকার সংস্থা প্রোগ্রেসিভ কারেন্নি পিপলস ফোর্সের (পিকেপিএফ) বরাত দিয়ে মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানায়, শান রাজ্যে গত কয়েক দিনে জান্তা বাহিনীর বোমা হামলায় শতাধিক বাড়িঘর ও ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে ৮ বছর বয়সী এক শিশুও নিহত হয়েছে।
ইরাবতি বলছে, মিয়ানমারের ৩ শতাধিত সেনা গত বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) মোয়েবিতে অভিযান চালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় রাজনৈতিক দল কারেন্নি ন্যাশনাল প্রোগ্রেসিভ পার্টির সশস্ত্র শাখা কারেন্নি ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ), কারেন্নি আর্মি (কেএ) এবং পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (পিডিএফ) সদস্যরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ শুরু হয়।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারকে অস্থিতিশীল করেছে পশ্চিমারা!
সংঘর্ষে জড়িত মোয়েবি-পিডিএফ জানায়, গত ৮ থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারেন্নি প্রতিরোধ বাহিনীর হাতে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মোট ৮৫ সেনা নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিদ্রোহী গোষ্ঠীর দুই যোদ্ধা নিহত এবং ৫০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
তবে স্বাধীনভাবে সামরিক বাহিনীর হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারেনি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি।
সম্প্রতি ইরাবতির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যে ২০২১ সালের মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত গেল ১৫ মাসে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষে দেশটির দেড় হাজার সেনা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন দেড় শতাধিক সশস্ত্র প্রতিরোধ যোদ্ধা।
]]>