ফেনীতে তপন-আলাল বাকযুদ্ধ টক অব দ্য টাউন
ফেনী পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়ে বাহাসে জড়িয়েছেন ফেনী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাশার মজুমদার তপন ও বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল। তপন-আলালের বাকযুদ্ধ আজ টক অব দ্য টাউন।
সোমবার বিকেলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীর গণসংযোগে অংশ নিয়ে তপন বলেছেন, ’বিএনপি আলাল দুলাল কে যেন দাঁড়িয়েছে দেখতে মনে হয়, এইমাত্র ফেনসিডিল খেয়ে এসেছে। সে নাকি স্বপনের সাথে ভোটে দাঁড়িয়েছে। স্বপন কে দেখতে শ্রদ্ধা-ভক্তি হয়। ফেনসিডিল খোর, গাঁজাখোরকে কেউ ভোট দিবে মনে হয়না। ৭৬ বছর বয়সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা হোসেন ও তার চেয়েও কম বয়সের মেয়রের জন্য ভোট চাইতে মাঠে নেমেছেন তাহলে সবাইকে ভোট না দিয়ে উপায় আছে?
আলাল কে উদ্দেশ্য করে জেলা আওয়ামী লীগের এই সহ-সভাপতি আরো বলেন, পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই, সোমবার থেকে আবোল তাবোল বকা বন্ধ করুন, না হলে আপনার বাড়ির সামনে পাহারা বসানো হবে। আমার নেতা স্বপন মিয়াজীর বিরুদ্ধে যদি একটা কথা বলেন- আপনার বাড়ি ঘর সবকিছু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা ঘেরাও করে রাখবে, ৩০ জানুয়ারির পর তা প্রত্যাহার করা হবে।
এদিকে সন্ধ্যায় রামপুর নিজ এলাকায় তাকিয়া রোডে আলাল উদ্দিন আলাল গণসংযোগের শুরুতে বক্তব্য রাখেন। তপনের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, তিনি আলালকে চেনেন না এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা, তপন আমার বড় ভাইয়ের সাথে ফেনী কলেজে একসাথে পড়াশোনা করেছে। তার ছোট ভাই একলাস পরশুরাম থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। উনাদের পুরো পরিবার বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। তিনি শুধু আওয়ামী লীগ করেন।
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে তপন ভাই বিপুল ভোটে হেরে জামানত হারিয়ে ছিলেন। আজিজ আহম্মদ চৌধুরী মারা যাওয়ার পর তপন ভাই জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হয়েছেন। আজিজ আহম্মদ চৌধুরীর মতো সজ্জন ব্যক্তির চেয়ারের বোঝা তিনি বইতে পারছেন না। নতুবা তিনি আজ অসুস্থ ছিলেন। যে সমস্ত জিনিস আমায় সারা জীবন স্পর্শ করেনি সে সব নিয়ে মিথ্যাচার করেছেন। উনার সাথে আমার প্রায় কথা হয়। আমার সাথে তার সম্পর্ক লুকানোর জন্যই এসব বলেছেন।
আলাল আরো বলেন, সমস্ত নায়কদের মুখ ভাঙ্গা। সারা পৃথিবীর মানুষ মুখ ভাঙার চেষ্টা করছেন। উনাকে দুইদিন রমনা পার্কে দেখেছি খুব ব্যায়াম করতেছেন। তিনি চেষ্টা করেও মুখ ভাঙতে পারেননি।