বিনোদন

কড়া প্রতিবাদেও সীমান্তে থামছে না গোলাগুলি

<![CDATA[

বার বার কড়া প্রতিবাদের পরও থামছে না সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর আগ্রাসী আচরণ। রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) দিনব্যাপী তুমব্রু সীমান্ত থেমে থেমে চলে গোলাগুলি ও মর্টার শেলের বিস্ফোরণ। যার কারণে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্ত ও তার আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমান্তের ৩৩ নম্বর পিলারের পাশে বসবাস করেন আব্দু রশীদ। ঠিক তার বসতির বিপরীতে সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের একাধিক বাংকার রয়েছে। এখান থেকে প্রতিদিনই ছোঁড়া হয় মর্টারের গোলা আর মাঝে মাঝে হেলিকপ্টার থেকেও ফেলা হয় গোলা। যা বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে যায়। মিয়ানমার বাহিনীর প্রতিদিনের এই ভয়াবহতার কথা প্রতিবেদককে বর্ণনা করছিলেন রশীদ।

তিনি বলেন, তুমব্রু পশ্চিমকুল সীমান্তের কাঁটাতার ঘেঁষে মিয়ানমারের অনেকগুলো বাংকার রয়েছে। যা আমার বাড়ির সীমানা থেকে দেখা যায়। আর মর্টারের গোলার বিকট শব্দগুলোতে কেঁপে উঠে বাড়িঘর। মিয়ানমার বাহিনীর কোনো রাত-দিন নেই; যখন খুশি তখন গোলাগুলি ও বাংকার থেকে গোলা মারছে।

রশীদ আরও বলেন, মিয়ানমারের ঢেকুবনিয়া থেকে যে গোলা মারছে তা বাংলাদেশের সীমান্তের ৪ কিলোমিটার অতিক্রম করে মিয়ানমারের পাহাড়ে পড়ছে। গোলাগুলি, মর্টার শেলের বিকট শব্দ আর যুদ্ধবিমান থেকে যে হামলা করছে এতে আমাদের দিন দিন আতঙ্ক বাড়ছে।

একমাস পেরিয়ে গেলেও তুমব্রু সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ বন্ধ হয়নি। এখনো চলমান রয়েছে গোলাগুলি, গোলা বর্ষণ ও হেলিকপ্টারের বিচরণ। প্রতিদিনই সীমান্ত ঘেঁষে মিয়ানমার বাহিনী ছুড়ছে মর্টারের গোলা। ভয়ে শ্রমিকও যেতে পারছেন না কাজে। এতে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকসহ অনেকেই।

আরও পড়ুন: সীমান্ত ঘেঁষে থামছে না মিয়ানমারের গোলাগুলি, আতঙ্ক বাড়ছেই

তুমব্রু পশ্চিমকুলের বাসিন্দা রহিম বলেন, এত বেশি গোলাগুলির শব্দ এটা আর সহ্য হচ্ছে না। তাদের গোলাগুলিতে ছোট বাচ্চারা স্কুলে যেতে ভয় পায়। আমরাও ভয়ে চাষের জমিতে যেতে পারছি না।

আরেক বাসিন্দা হুমায়ুন বলেন, সীমান্তে বেশি গোলাগুলি হচ্ছে তাই বাগান মালিক কাজে যেতে নিষেধ করেছে। এখন কিভাবে সংসার চালাব।

আরেক বাগান শ্রমিক রফিক বলেন, গোলাগুলির কারণে এক সপ্তাহ ধরে কাজে যেতে পারছি না। খুবই কষ্টে আছি। এখন কি হবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, মিয়ানমারের এমন কাণ্ডে সচেতন রয়েছে সীমান্তের জনগণ। সীমান্তে বসবাস করছি সমস্যা হবে। তবে এটা দ্রুত সমাধানে সরকার কাজ করছে। আশা করি, সীমান্তের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে শিগগিরই।

এদিকে সীমান্তে গোলাগুলির কারণে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি। আর চেকপোস্টে তল্লাশির পাশাপাশি বাইরের কাউকে সীমান্তে যেতে দিচ্ছেন না তারা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!