বিনোদন

জাপান ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে বই প্রকাশ

<![CDATA[

জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাস পরিক্রমা, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে বই প্রকাশ করেছে ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাস।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার জাপানি দূতাবাসে বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল।

‘Bangladesh-Japan Diplomatic Relations (1972-2022): A New Paradigm of Strategic Partnership’ শীর্ষক বইটি লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম অঞ্চল অধ্যয়ন বিভাগ জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ বলেন, এই বইটি দুই বন্ধুত্বপূর্ণ দেশের সম্পর্কের বর্তমান সম্পর্ক এবং ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনার ওপর জোর দিয়েছে। জাপানের আশ্চর্য উন্নয়ন থেকে বাংলাদেশ শিখতে পারে, বিশেষত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ধ্বংসস্তূপ থেকে কীভাবে এই দেশটি উন্নত হয়েছিল।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ঢাকার জাপানি রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো বলেন, এই বই ভবিষ্যৎ একাডেমিয়ায় অত্যন্ত প্রভাবশালী ভূমিকা রাখবে, বিশেষত জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে। তিনি এই বই লেখার জন্য লেখককে অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

আরও পড়ুন: সেরা ফটোগ্রাফার পুরস্কার দিয়ে শেষ হলো ‘ফোটিগ্রাফি কন্টেস্ট’

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সদস্য এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বইটি বিশেষত রাষ্ট্রবিজ্ঞান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, অঞ্চল অধ্যয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উন্নয়ন অধ্যয়নসহ সমসাময়িক বিষয়গুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এটি একটি বিরল একাডেমিক প্রচেষ্টা।

দশটি অধ্যায়ে বিভক্ত এই বইয়ে লেখক জাপান ও বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ইতিহাস পরিক্রমা, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যৎ প্রবণতা নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। বইটির একটি মৌলিক উদ্দেশ্য হলো জাপানের অলৌকিক উন্নয়ন মডেলগুলো বোঝার জন্য জাপান-বাংলাদেশের ব্যাপক সম্পর্কের অন্বেষণ ও পরীক্ষা করা এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন নীতি উদ্যোগ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের পরিকল্পনা এবং  ভিশন ২০৪১-এ তাদের প্রয়োগ করা। লেখক বিভিন্ন অধ্যায়ে বর্তমান বৈশ্বিক প্রবণতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিবর্তন পর্যালোচনা করে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের আরও উন্নতির জন্য প্রাসঙ্গিক নীতি সুপারিশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে একটি তুলনামূলক আলোচনা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন। অনেক গবেষক, ও শিক্ষাবিদ বিশ্বাস করেন জাপানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন মডেল বাংলাদেশের অনুকরণ করা উচিত। সেই সম্ভাবনা অন্বেষণ করার জন্য এই বইয়ের কয়েকটি অধ্যায়ে বাংলাদেশ-জাপানের অধিকতর কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে, যা দ্বারা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করতে ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শিবলী নোমান।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!