ভারত থেকে বেড়েছে পেঁয়াজ আমদানি, কমেছে দাম
<![CDATA[
চাহিদার তুলনায় আমদানি বাড়ায় হিলি স্থলবন্দরের আড়তগুলোয় ভারত থেকে আনা পেঁয়াজের দাম কমেছে। ৩ দিনের ব্যবধানে প্রতিটন পেঁয়াজের দাম ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত কমেছে। এবিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলেন, অতিরিক্ত গরমে পেঁয়াজের গুণগত মান নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় দাম কমে গেছে।
দেশের স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে হিলি স্থলবন্দর দিয়েই অধিকাংশ পেঁয়াজ আমদানি হয়ে থাকে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি বছরই বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এবারও তাই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। প্রথমদিকে অল্প পরিসরে আমদানি হলেও এখন তা দিন দিন বাড়ছে।
পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, কোরবানির ঈদ ও দুর্গাপূজার সময় স্থলবন্দর লম্বা ছুটির কবলে পড়ে। সে সময়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকে। সেই সময়ের ঘাটতি পূরত করতেই আমদানি বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে, পেঁয়াজের আমদানি বাড়লেও অতিরিক্ত গরমের কারণে পেঁয়াজের গুণগত মান কিছুটা খারাপ হওয়ায় ব্যবসায়ীরা দাম কম পাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ৬৫ লাখ লিটার সয়াবিন তেল কিনছে টিসিবি
হিলি স্থলবন্দরের অভ্যন্তরে সরেজমিনে দেখা যায়, আমদানি করা পেঁয়াজবোঝাই ট্রাক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজের বেশিরভাগই ইন্দ্র জাতের। তাছাড়া নাসিক, রাজস্থান, নগর জাতের পেঁয়াজও অল্প পরিমাণে আমদানি হচ্ছে। বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ প্রকারভেদে ২০ থেকে ২৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এসময় কথা হয় পেঁয়াজ কিনতে আসা কয়েকজন পাইকারি ব্যবসায়ীর সঙ্গে। তারা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বেড়েছে। এতে দামও কমেছে। কিন্তু পেঁয়াজের গুণগত মান ভালো না হওয়ায় কম করে কিনছেন। কারণ এ পেঁয়াজ গুদামে রাখা যাবে না। রাখলে পচে যেতে পারে।
এদিকে, পেঁয়াজ আমদানি বাড়ার বিষয়ে হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাপ মল্লিক বলেন, আগের তুলনায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বেড়েছে। পণ্যটি কাঁচাপণ্য হওয়ায় দ্রুত ছাড় করতে আলাদা শেডসহ জায়গা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে, যাতে ব্যবসায়ীরা শুল্কায়ন শেষে পণ্যটি দ্রুত ছাড় করতে পারেন।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহের ৪ কর্মদিবসে ভারতীয় ৯৯টি ট্রাকে ২ হাজার ৮৫৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
]]>




