মেয়ের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল বাবার
<![CDATA[
ঢাকার সাভারে মেয়েকে নিয়ে মোটরসাইকেলে বেড়াতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা বেপরোয়া আরেকটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন বাবা। আহত হয়েছেন মেয়ে সানজিদা মেহেরজাবিন অর্পি। তিনি সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় দায়ী মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিরুলিয়া-মিরপুর সড়কের দত্তপাড়া এলাকায় আমিন মোহাম্মদ মডেল টাউনের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আফজাল হোসেন (৫০) বরিশালের কাউখালীর বাসিন্দা। পেশায় ব্যবসায়ী। কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে তিনি ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আসেন।
আহত সানজিদা মেহেরজাবিন অর্পি বলেন, আমি আশুলিয়ার খাগান এলাকার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে থার্ড ইয়ারে পড়ি। বাবা গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। কদিন আগে আমার সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশে মোটরসাইকেল নিয়ে ঢাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় আসেন। আজ (শুক্রবার) সকালে বাবা আমার হোস্টেলে আসেন। পরে বিকেলে আমাকে নিয়ে বিরুলিয়া ব্রিজের উদ্দেশে মোটরসাইকেলে রওনা হন। বাবা বাম পাশ দিয়ে আস্তে আস্তে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় সামনের দিক থেকে আসা বেপরোয়া গতির আরেকটি মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের বাইকের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটায়। আমি ছিটকে সড়কের পাশে পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হই। কিন্তু বাবা গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই বাবা মারা যান।
আরও পড়ুন: রাতে রাজধানীর সড়কে ঝরল নারীর প্রাণ
অর্পির খালাতো বোন সেলিনা সুলতানা বলেন, অভিযুক্ত মোটরসাইকেল চালকের বেপরোয়া গতির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে স্থানীয়রা বাইকটি আটক করলেও চালককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায় প্রভাবশালীরা। এই মৃত্যু আমরা মেনে নিতে পারছি না। অর্পি তার বাবাকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়। আমরা এ হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাঈনুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় দায়ী মোটরসাইকেলের চালকসহ দুজনকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে মোটরসাইকেলটি। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
]]>