জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেন না মন্ত্রী-এমপিরা
<![CDATA[
আগামী ১৭ অক্টোবর দেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদ নির্বাচন। এরইমধ্যে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় ২২ জেলায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী জয়ের পথে। সে হিসেবে বাকি ৩৯টি জেলায় ১৭ অক্টোবর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় আছে নির্বাচন কমিশন। কোনো জেলায় যাতে স্থানীয় এমপি, মন্ত্রী বা প্রভাবশালী কোন ব্যক্তি ভূমিকা রাখতে না পারে সেজন্য এরমধ্যেই তাদের সতর্ক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু স্থানীয় এমপিরা জেলা পরিষদের ভোটার নন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সেহেতু ওনাদের নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান না করাই ভালো।’
বিদ্যমান আইনে জেলা পরিষদ নির্বাচনে জাতীয় সংসদের কোন এমপি বা মন্ত্রী নিজ এলাকায় গিয়ে কোন প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণা বা নির্বাচনী কাজে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু মন্ত্রী-এমপিই নয়, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, হুইপ, সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী সমমর্যাদার কোন ব্যক্তিই নির্বাচনি কাজে অংশ নিতে পারবেন না। শুধু নির্বাচনি কাজে অংশগ্রহণই নয়, তাদের ব্যবহৃত কোন সরকারি যানবাহন বা অন্য কোন বস্তুও প্রার্থীর কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন: আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচন এবং কিছু প্রাসঙ্গিক কথা
তবে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে গিয়ে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন (যদি তিনি ভোটার হন)।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে ২০১৬ সালে গেজেট আকারে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নির্বাচনি প্রচারণা এবং সরকারি সুযোগ-সুবিধায় বিধিনিষেধঃ ‘১. সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণায় বা নির্বাচনি কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপ ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার ভোটার হইলে তিনি কেবল তাহার ভোট প্রদানের জন্য ভোটকেন্দ্রে যাইতে পারিবেন।’
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘নির্বাচনপূর্ব সময়ে কোন প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচনি কাজে সরকারি প্রচারযন্ত্র, সরকারি যানবাহন, অন্য কোন সরকারি সুযোগ সুবিধা ভোগ এবং সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার করিতে পারিবেন না।’
এখানে সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বলতে প্রজ্ঞাপনের ১ নম্বর ধারার ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি অর্থ প্রধানমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের স্পিকার, সরকারের মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাহাদের সমমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র।’
]]>