পাঁচ হাজার রুশ সেনাকে ঘিরে ফেলার দাবি ইউক্রেনের
<![CDATA[
ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের অন্তর্ভুক্তির একদিন পর দোনেৎস্ক অঞ্চলের লিমান শহর থেকে সেনাদের সরিয়ে নিচ্ছে রাশিয়া। এদিকে সাড়ে পাঁচ হাজার রুশ সেনাকে ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। সেই সঙ্গে শহরটির চারপাশের বসতিগুলো পুনরুদ্ধারের দাবি করেছে তারা। যদিও মস্কোর দাবি, রুশ সেনাদের আগেই সরিয়ে নেয়া হয়েছে। খবর রয়টার্স।
গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের চারটি অঞ্চল নিজেদের অন্তর্ভুক্তির পর চলমান যুদ্ধে যখন বিজয়ের আনন্দে ভাসছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তখন দোনেৎস্ক অঞ্চলের লিমান শহরে অবস্থান করা রুশ সেনাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলার দাবি করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
ইউক্রেনীয় বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান সেরি চেরেভাতি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের লিমান শহরে ৫ হাজারের বেশি রুশ সেনাকে ঘিরে ফেলেছে তারা। সেই সঙ্গে শহরটির চারপাশের এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী।
এদিন শহরের বিভিন্ন জায়গায় ইউক্রেনের জাতীয় পতাকা উড়ানোর ভিডিও প্রকাশ করা হয়। লিমান শহর পুনরুদ্ধারকে বড় ধরনের সাফল্য হিসেবে দেখছে কিয়েভ। রাশিয়ার সেনাবাহিনী এই শহরটিকে এত দিন সরবরাহ রুট হিসেবে ব্যবহার করে আসছিল। কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ এ শহরের নিয়ন্ত্রণ হারানোয় রুশ বাহিনী বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলেও মনে করছে কিয়েভ।
আরও পড়ুন: পরিকল্পনা অনুযায়ী চলছে রুশ অভিযান: পুতিন
তবে রুশ সেনাদের ঘিরে ফেলার দাবি অস্বীকার করেছে মস্কো। এক ভিডিও বার্তায় রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, যে কোনো ধরনের বিপর্যয় এড়াতে এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী পৌঁছার আগেই রুশ সেনাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কোনাশেঙ্কর বলেন, আমাদের সেনারা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক আকারে হামলা চালিয়েছে। গতরাতে তাদের ৫টি ট্যাংক, নয়টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করে দিয়েছে। এতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রযাত্রা রুখে দেয়া হয়েছে। শত্রুদের অবস্থানে হামলা অব্যাহত রেখেছি আমরা। কৌশলগত কারণে ঘেরাওয়ের আশঙ্কায় লিমানসহ কিছু জায়গা থেকে আমাদের সেনাদের সরিয়ে নিয়েছি।
আরও পড়ুন: পরমাণু কেন্দ্রের প্রধান রাশিয়ার হাতে আটক
এর মধ্যেই ইউক্রেনের খারকিভ অঞ্চলে শরণার্থীবাহী একটি গাড়িবহরে ভয়াবহ হামলায় নারী ও শিশুসহ অন্তত ২৪ জন নিহত হয়েছে। হামলার জন্য রাশিয়াকে দায়ী করা হলেও মস্কোর দাবি, সাধারণ মানুষ নয়ং বরং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর একটি গাড়িবহর লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধানকে অহপরণের অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য রাশিয়াকে দায়ী করেছে ইউক্রেন। যদিও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি মস্কো।
]]>