রংপুরে পদ্মা সেতুর আদলে পূজামণ্ডপ
<![CDATA[
রংপুর মহানগরীর ১৬৯টি পূজামণ্ডপে একযোগে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে সবগুলো পূজামণ্ডপ ঢেকে ফেলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের পাশাপাশি প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবকরাও কাজ করছেন। যেকোন ধরনের নাশকতা কিংবা অন্য কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রতিটি মণ্ডপে বসানো হয়েছে সিসিটিভি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসর্গ করে পদ্মা সেতুর আদলে সাজানো হয়েছে নগরীর পালপাড়া পূজামণ্ডপ। রাতের ঝলমলে বৈদ্যুতিক আলোয় স্থাপনাটিকে সত্যিকারের পদ্মা সেতু মনে হচ্ছে।
আয়োজকরা বলছেন, সোমবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর দর্শনার্থীর সংখ্যা বহুগুণ বাড়বে বলে আশাবাদী তারা।
আয়োজক কমিটির অন্যতম নেতা গণেশ চন্দ্র জানান, আমরা নতুনত্ব আনার চেষ্টা করেছি। এবার দেশের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা ছিল পদ্মা সেতুর নির্মাণ করা। সেটি উদ্বোধন হয়েছে। সে কারণে পদ্মা সেতুর আদলে পূজামণ্ডপ তৈরি করা হয়েছে।
একই কথা বললেন আয়োজক কমিটির সদস্য মালতী রানী। তিনি বলেন, আলোকসজ্জা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে রাতে দেখলে সত্যিকার পদ্মা সেতু মনে হবে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু
এদিকে নগরীর ধর্মসভা পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করতে যান রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। তিনি বলেন, গত বছরের কুমিল্লাসহ কয়েকটি স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনার কারণে এবার সাইবার ক্রাইমকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ফেসবুকে কেউ যাতে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলা করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। এ ধরনের কোনো অশুভ তৎপরতা লক্ষ্য করা গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তৎপরতা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। মহানগরীর প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসিটিভি বসানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে।
এদিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান সময় সংবাদকে বলেন, সুষ্ঠু পরিবেশে যাতে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয় সে জন্য পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি।
কেউ যাতে সাবোট্যাজ করার সুযোগ না পায় সেজন্য মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা প্রয়োজনে প্রতিটি পূজামণ্ডপ পাহারা দেবেন বলেও জানান তিনি।
]]>