চীনের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তাইওয়ানের
<![CDATA[
এবার চীনের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে তাইওয়ান। বুধবার (০৫ অক্টোবর) তাইপে দাবি করে, তাইওয়ান প্রণালী মাঝ বরাবর মধ্যরেখা অতিক্রমের মধ্য দিয়ে চীন-তাইওয়ান অঘোষিত চুক্তি ভঙ্গ করেছে বেইজিং। এদিকে, নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে তাইপে শাসন করার অধিকার বেইজিংয়ের রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে চীন। খবর রয়টার্স।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিও কেও চেং দাবি করেছেন, তাইওয়ান প্রণালীর মাঝ বরাবর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে চীন এবং এর মধ্য দিয়ে বেইজিং দুইপক্ষের মধ্যকার অঘোষিত চুক্তি ভঙ্গ করেছে।
আন্তর্জাতিক জল ও আকাশসীমা অনুযায়ী, এ মধ্যরেখা বা মিডিয়ান লাইন চীন ও তাইওয়ানের মধ্যকার অঘোষিত বিভাজন রেখা। স্নায়ু যুদ্ধের সময় কমিউনিস্ট চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে উত্তেজনার জেরে ১৯৫৪ সালে এক মার্কিন জেনারেল এ রেখা উদ্ভাবন করেন। চীন এই রেখাকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি না দিলেও, তাইপে এই বিভাজন রেখা মেনে চলে।
মার্কিন কংগ্রেস প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইপে সফরের পর থেকেই চীনের নৌবাহিনীর জাহাজগুলো নিয়মিতভাবে ওই মধ্যরেখা লঙ্ঘন করে চলছে বলে অভিযোগ তুলেছে তাইপে। তবে, চীন যদি রেড লাইন অতিক্রম করে তাহলে বসে থাকবে না তাইপে। বুধবার পার্লামেন্টে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দেন তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী চিও কেও চেং।
এদিকে, তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে তাইপে শাসন করার অধিকার বেইজিংয়ের সশস্ত্র বাহিনীর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছে চীন।
আরও পড়ুন: উইঘুর মুসলিম নির্যাতনের গ্রহণযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
এছাড়া তাইওয়ান প্রণালি ঘিরে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্পর্ক দিন দিন তিক্ততায় রূপ নিচ্ছে। একই সঙ্গে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে নানা তৎপরতা শুরু করেছে বেইজিং, যা রীতিমতো হুমকি হয়ে উঠছে পশ্চিমা দেশগুলোর জন্য। চীনকে মোকাবিলায় নিজেদের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে এবার একজোট হলেন যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা।
তাইওয়ান প্রণালি এবং এ অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসি আচরণ উদ্বেগজনক মন্তব্য করে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
এসময় অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারলেস বলেন, ‘এ অঞ্চলে এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। চীন তার চারপাশের বিশ্বকে এমন রূপ দিতে চাইছে, যা আগে কখনো আমরা দেখিনি।’
আরও পড়ুন: চীনের বিরুদ্ধে একজোট যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনা প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করেছে। এ লক্ষ্যে গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন দ্বীপদেশগুলোর জন্য ৮১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা ঘোষণা করে।
মূলত এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র তার কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া সফর করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস।
]]>