সাব্বির-মিরাজকে নিয়মিত ওপেনারদের চেয়ে বেশি সময় দেয়া হচ্ছে
<![CDATA[
নিয়মিত ওপেনারদের পরিবর্তে মেকশিফট ওপেনারদের বেশি সময় দেয়া হয়েছে। আপৎকালীন বিষয়টিকে নিয়মিত করায় তা কাজে আসেনি। এমন মন্তব্য করেছেন ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। কম্বিনেশনে পরিবর্তন এনে নিয়মিত ওপেনার লিটন এবং শান্তকে দিয়ে ইনিংস শুরুর পরামর্শ তার। মাঠের বাইরে সাকিবকে নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা হলেও তার প্রভাব মাঠের খেলায় পড়বে না বলেও মত এই বিশ্লেষকের।
দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। কোনো দাওয়াই যেন কাজে আসছে না। অধিনায়ক থেকে কোচ, পরিকল্পনা কিংবা পরামর্শ, পরিবর্তনের তালিকায় আছে অনেক কিছুই। কিন্তু অপরিবর্তিত মাঠের পারফরম্যান্স। আরও একটা ম্যাচ চলে গেল, পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল সবার জানা।
গত বিশ্বকাপের পর থেকে পরীক্ষার ল্যাবে আছে টি-টোয়েন্টি দলের ওপেনিং। এখন পর্যন্ত ১০টি পৃথক জুটি ইনিংস শুরু করেছে। এখনো স্থায়ী হতে পারেনি কেউই। মেকশিফট ওপেনার সাব্বির-মিরাজও ব্যর্থ। ক্রিকেট বিশ্লেষক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের মতে, ইনিংস শুরুর দায়িত্বে থাকা উচিত নিয়মিত ওপেনারদেরই। খারাপ করলেও সময়টা তাদের প্রাপ্য।”
আরও পড়ুন:পছন্দের জায়গায় না খেলার কারণ জানালেন সাকিব
টাইগারদের ক্রিকেট গুরু নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘শান্ত যদি আলটিমেটলি ওপেনিং করেই তবে লিটনের সঙ্গে শান্তকে ওপেনিং করালেই ভালো হবে। শুরু থেকেই যদি প্রোপার দুজন ব্যাটার ব্যাটিং করতে পারে তাহলে ভালো। এমন দুজন ব্যাটার যারা শুরু থেকেই ওপেন করতে অভ্যস্ত। মিরাজ যদি খেলে তবে তার নিজের জায়গাতেই খেলতে পারবে। নম্বর এইটে হয়তো ব্যাটিং করতে পারে সে। সেখানেই সে ব্যাটার হিসেবে তার ভূমিকাটা রাখতে পারে এবং সে ভালো বোলিং করছে ইদানীং। সেটাও কাজে লাগতে পারে।
তিনি যোগ করেন, ‘রেগুলার বেসিসে এভাবে মেকশিফট ওপেনার দিয়ে খেলানোটা সহজ নয়। যে ব্যাটার লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলতে অভ্যস্ত এবং গত তিন-সাড়ে তিন বছর খেলেনি, বিশেষ করে এই পজিশনে যার খেলার হিস্ট্রি নেই, তার জন্য এটা অনেক চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখানে স্কিলের প্রয়োজন হবেই কারণ যে কন্ডিশনে খেলা হবে বা যে বোলারদের বিপক্ষে খেলতে হবে ভালো স্কিল না থাকলে খেলা কঠিন।’
টি-টোয়েন্টিতে অন্য দলগুলো যেখানে প্রতি ম্যাচেই দুইশ’র কাছাকাছি স্কোর করছে। সেখানে ১৫০ করাটাই কষ্টসাধ্য টাইগারদের। এই বিশ্লেষকের মতে পাওয়ার প্লে ব্যবহার করতে না পারায় চাপে পড়ছে দল।
ফাহিম বলেন, ‘পাওয়ারপ্লেতে আমাদের রানটা যখন ৩৫-৩৬ বা ৩৮ হবে তখন মাঝখানে মেকআপ করার একটা চেষ্টা আমাদের ব্যাটারদের করতে হয়। যখন তারা দেখে ১০ ওভার শেষে তাদের রান দাঁড়িয়েছে ৬০ বা ৬২, তারা বুঝতে পারে রান যথেষ্ট হয়নি। তখন তারা চাপে পড়ে এবং সেটা কাটাতে চেষ্টা করে, সে ক্ষেত্রে ওভার অ্যাগ্রেসিভ খেলতে গিয়ে উইকেটটা দেওয়ার প্রবণতা আমাদের আছে।’
সমাধানটাও বাতলে দিলেন টাইগারদের ক্রিকেটগুরু, ‘পাওয়ারপ্লেতে আমরা যদি আরেকটু বেশি রান করতে পারি, সে ক্ষেত্রে মিডল ওভারে আমরা সিঙ্গেলস-ডাবলস নিয়ে আমরা ৬-৭ রান করে করতে পারি, তাহলে লাস্টের দিকে যদি উইকেট ধরে রাখতে পারি, যারা অ্যাগ্রেসিভ শট খেলতে পারে তাদের পর্যাপ্ত সুযোগ দিতে পারি, তবে শেষে গিয়ে হয়তো ১৬০ রানের মতো একটা টার্গেট করতে পারি যদি আগে ব্যাট করি।’
আরও পড়ুন:নিজের ওপর বিশ্বাস আছে শান্তর
দলের এমন ভরাডুবির মাঝে নেতিবাচক খবরের শিরোনাম অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচেও খেলতে পারেননি সময়মতো পৌঁছাতে না পারায়। যদিও সাকিবের গুরু বলছেন, বাইরের সমালোচনা প্রভাব ফেলবে না সাকিবের মাঠের ক্রিকেটে।
ফাহিম বলেন, ‘ও যে নিজে গিয়ে ব্যবসা করে তা নয়, সো মাঠে ওর যেটা কাজ সেটা ও করবে। এখানে (নিউজিল্যান্ডে) ওর আরও আগে আসা উচিত ছিল। ওর মনে হয় আরও আগে আসার কথা ছিল। তবে আমার মনে হয় না খেলার মাঠের বাইরে যেসব অ্যাকটিভিটিজ তার সঙ্গে খেলার কোনো সম্পর্ক আছে।’
প্রতিপক্ষ এবং কন্ডিশন বিবেচনায় গত বিশ্বকাপ থেকে এবারের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি ভালো হয়েছে বলেও মনে করেন ফাহিম।
]]>