প্রতিষ্ঠান আছে কিন্তু জনবল নেই, সেবা থেকে বঞ্চিত বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষ
<![CDATA[
পঞ্চগড় সদর, বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষের কাছে সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে সরকার তিনটি কমিউনিটি সেন্টার ও দুইটি ডাকঘর নির্মাণ করেছে। কিন্তু লোকবল না থাকায় সেগুলো কোন কাজে আসছে না।
স্থানীয়রা বলছেন, উন্নয়ন বঞ্চিত বিলুপ্ত ছিটমহলের সাধারণ মানুষের কাছে সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট দফতর ভবন নির্মাণ করলেও জনবল না থাকায় তারা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
২০১৫ সালের ৩১ জুলাই মধ্য রাতে ভারত-বাংলাদেশের অভ্যন্তরে থাকা ছিটমহল আনুষ্ঠানিকভাবে বিনিময় হয়। একইদিন পঞ্চগড়ের অভ্যন্তরে থাকা ৩৬টি ছিটমহলসহ সেখানে বাস করা প্রায় ২০ হাজার সাধারণ মানুষ বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পঞ্চগড়ের বিলুপ্ত ছিটমহলের সেই সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের কাছে সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কমিউনিটি সেন্টার ও ডাকঘর স্থাপন করেছে।
কোটি টাকা ব্যয়ে বিলুপ্ত ছিটমহলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো নির্মিত হলেও সেগুলো স্থানীয়দের কোন উপকারে আসছে না বলে সময় সংবাদকে জানালেন বিলুপ্ত ৭৮ নং গাড়াতি ছিটমহলের সাধারণ মানুষেরা। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন বিলুপ্ত ৭৮ নং গাড়াতি ছিটমহলের সাবেক চেয়ারম্যান মফিজার রহমান।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
স্থানীয় সরকার বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শামসুজ্জামান জানিয়েছেন, পঞ্চগড় জেলার ৩৬টি বিলুপ্ত ছিটমহলের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ১০ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক, কমিউিনিটি সেন্টার, ডাকঘর, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শশ্মানঘাটসহ বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। কিন্তু পর্যাপ্ত জনবল এখনও নিয়োগ দেয়া সম্ভব হয়নি।
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুল হক জানান, সরকারি ভাবে নির্মিত প্রতিষ্ঠান সমূহের সেবা দ্রুত নিশ্চিত করতে জনবল নিয়োগের কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুতই সেগুলো ব্যবস্থাপনার আওতায় আসবে এবং এর সুবিধা বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীরা পাবে।
জন্ম থেকেই সুবিধা বঞ্চিত বিলুপ্ত ছিটমহলের মানুষের হাতের কাছে সরকারি সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন বিলুপ্ত ছিটমহলের সাধারণ নাগরিকরা।
]]>




