উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর
<![CDATA[
উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত্রুপক্ষের জন্য অত্যন্ত ভয়ংকর বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা গবেষকরা। তারা বলছেন, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র শত্রুপক্ষের জন্য শনাক্ত করা খুব কঠিন। যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম বলেও জানান তারা। যদিও দক্ষিণ কোরিয়ার দাবি, যেকোনো ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে তাদের। খবর সিটিভি নিউজ।
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়ার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে সম্প্রতি একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় উত্তর কোরিয়া। এর জবাবে কোরীয় উপদ্বীপ ও জাপান সাগরে যুদ্ধবিমান নিয়ে মড়হা দেয় সিউল-ওয়াশিংটন ও টোকিও। তাতেও থামেনি পিয়ংইয়ং। অব্যাহত আছে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা। হামলা হলে পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারেরও হুমকি দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিংম জং উন। বলেছেন, শত্রুপক্ষের হুমকি মোকাবিলায় পিয়ংইয়ং সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।
কিম জং উনের ওই বক্তব্যের পর নড়েচড়ে বসেছে দক্ষিণ কোরিয়াসহ প্রতিবেশী দেশগুলো। দেশটির পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে চলছে নানা গবেষণা। অস্ত্র বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক পরীক্ষা চালানো উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আগের যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্রের চেয়ে ভিন্ন।
তাদের দাবি, উত্তর কোরিয়া মিসাইল উৎক্ষেপণের যে ছবি প্রকাশ করেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কেএন-টোয়েন্টি থ্রি মডেলের ক্ষেপণাস্ত্রটি পানির নিচ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। যার নাম আন্ডার ওয়াটার লঞ্চড ব্যালিস্টিক মিসাইল বা ইউএলবিএম। এটি শত্রুপক্ষের জন্য খুবই ভয়ংকর। এই ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা যেকোনো দেশের জন্যই খুব কঠিন। যেকোনো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করে লক্ষ্যবস্তুতে সহজেই আঘাত হানতে সক্ষম বলেও ধারণা গবেষকদের।
আরও পড়ুন: উত্তর কোরিয়া কেন এত ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে?
ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষজ্ঞ মুন কে সিক বলেন, ‘আমার কাছে যতটুকু মনে হচ্ছে, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র বিশ্বে প্রথম। অনেকেই বলছেন, এটি সাবমেরিন ক্ষেপণাস্ত্র তবে আদতে এটি সাবমেরিন ক্ষেপণাস্ত্র নয়। কারণ, এটি সাবমেরিন থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়নি। এটি পানির নিচ থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা যেকোনো দেশের জন্যই খুব কঠিন একটি কাজ। কারণ, এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পানির অনেক নিচে থাকে, যা অনেক দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
তবে সিউল বলছে, পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র যতই অত্যাধুনিক হোক না কেন, তা ভূপাতিত করার সক্ষমতা রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের ওপর প্রতিনিয়ত নজরদারি করা হচ্ছে এবং সেভাবেই নিজেদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়াকে চরম সতর্কবার্তা কিমের
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মুন হং সিক বলেন, উত্তর কোরিয়া একের পর এক নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচন করছে। তবে এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করার সক্ষমতা রয়েছে আমাদের। আমাদের সক্ষমতা প্রতিনিয়ত বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে, পরমাণু হামলার হুমকির বিষয়টি খুবই গুরুত্বসহকারে নেয়া হয়েছে জানিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এ বিষয়ে জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলোকে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবা হচ্ছে। নিজদের সার্বভৌমত্ব এং নাগরিকদের সুরক্ষায় যেকোনো পদক্ষেপ নিতে কোনো দেরি করা হবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
]]>




