হবু মায়েদের আয়রন ট্যাবলেট খাওয়া কি নিরাপদ?
<![CDATA[
গর্ভাবস্থায় অনেক মাকেই আয়রন ট্যাবলেট খেতে দেখা যায়। এতে কি হবু মা ও শিশুর জন্য ভালো হয় নাকি দেখা দিতে পারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া? আসুন এ বিষয়ে জেনে নেয়া যাক কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা কখনই গর্ভাবস্থার তিন মাসের মধ্যে আয়রন ট্যাবলেট হবু মাকে সেবন করতে দেন না। তিন মাসের পর হবু মায়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেই আয়রন ট্যাবলেটের সুপারিশ করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: কাপড়ের কঠিন দাগ তোলার সবচেয়ে সহজ উপায়
সাধারণত রক্তস্বল্পতা এবং লোহিত রক্তকণিকার প্রোটিন হিমোগ্লোবিন তৈরি করার জন্য আয়রন ট্যাবলেটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। হবু মায়ের শরীরে এসবের ঘাটতি থাকলেই চিকিৎসকরা আয়রন ট্যাবলেট খেতে সাজেশন করে।
তবে তার মানে এই নয়, গর্ভাবস্থায় আয়রন ট্যাবলেট খেতেই হবে। যদি হবু মায়ের আয়রনের ঘাটতি না থাকে তবে আয়রন ট্যাবলেট না খাওয়াই ভালো।
কারণ আয়রন ট্যাবলেট খাওয়ার পর শরীরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এগুলো হলো মল ও মূত্রের রং গাঢ় হয়ে যাওয়া। আয়রন গ্রহণ করার পর অনেক হবু মায়েরই মলের রং সবুজ হতেও দেখা যায়।
এছাড়া গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে অস্বস্তি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমিভাব বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলেও খেতে হবে আয়রনের ট্যাবলেট।
আয়রন ট্যাবলেটের পুরোপুরি কার্যকারিতা পেতে হলে অবশ্যই ডায়েটে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বাড়িয়ে দিতে হবে। এতে করে শরীর খুব তাড়াতাড়ি আয়রন শোষণ করার সুযোগ পেয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: যে পানীয়তে লুকিয়ে আছে দীর্ঘজীবি হওয়ার অমৃত সুধা!
তবে সবচেয়ে ভালো হয় এসময় আয়রন সমৃদ্ধ খাবারগুলো বাড়িয়ে দিলে। হবু মায়েরা আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের জন্য খেতে পারেন সয়াবিন, লিমা বিনস, মসুর ডাল, কিডনি বিনস বা রাজমা, ঝিনুক, কিসমিস, মুরগির লিভার ইত্যাদি।
]]>