বেনজেমার হাতেই উঠছে ব্যালন ডি’অর?
<![CDATA[
কার হাতে উঠছে ফুটবলারদের সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর- এ নিয়ে উত্তেজনার কমতি থাকে না। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। সব আলো নিজের করে নিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের ফরাসি তারকা করিম বেনজেমা। একের পর এক রূপকথার জন্ম দিচ্ছে লস ব্লাঙ্কোসরা। যার নেপথ্যে রয়েছেন একজন বেনজেমা। তার পায়ের জাদুতে লা লিগা-চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ডাবলস জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) প্যারিসে ঘোষণা করা হবে ২০২১-২২ মৌসুমের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম। তবে নাম ঘোষণার আগেই দ্যুতি ছড়ানো বেনজেমার হাতেই পুরস্কারটি দেখছেন ফুটবল বোদ্ধারা। দলীয় অর্জন, পারফরম্যান্স সবকিছু বিচারে তার ধারে কাছে নেই কেউ।
এদিকে, ২০০৭ সালের পর থেকে ব্যালন ডি’অর নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। সবশেষ ২০১৮ সালে তাদের হাত থেকে ফসকে ফুটবলারদের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ মর্যাদার পুরস্কারটি উঠেছিল লুকা মদ্রিচের হাতে। কিন্তু গত ১৫ বছরে এই প্রথম তারা নেই ব্যালন ডি’অরের দৌড়ে।
এতদিন ব্যালন ডি’অর দেয়া হতো কোনো এক বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১২ মাসে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ফুটবলারদের। তবে নিয়মে বদল এনেছে ফ্রান্স ম্যাগাজিন। এবার আর বছরভিত্তিক নয়, এবার থেকে পুরস্কারটা দেয়া হচ্ছে ফুটবল মৌসুমের হিসাবে। সে ক্ষেত্রে গত আগস্ট থেকে এ বছরের জুলাইয়ের পারফরম্যান্স হিসাবেই তৈরি করা হয়েছে সংক্ষিপ্ত ৩০ জনের নাম।
আরও পড়ুন: ব্যালন ডি’অর একটি রাজনৈতিক পুরস্কার: ইব্রাহিমোভিচ
যদি আহ প্যারিসে বেনজেমার হাতে পুরস্কারটি ওঠে, তবে দীর্ঘদিনের অপেক্ষা ফুরাবে ফ্রান্সের। কারণ ২৪ বছর আগে কোন ফরাসি তারকা ব্যালন ডি’অরের পুরস্কার জিতেছিল। ১৯৯৮ সালে ফ্রান্সের খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জেতেন জিনেদিন জিদান।
জিদানের আগে ১৯৯১ সালে আরেক ফরাসি তারকা হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন জাঁ-পিয়েরে পাপিন। তার আগে অবশ্য ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৫ সালে টানা তিনবারের ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন ফরাসি এই তারকা। আর প্রথম ফরাসি তারকা হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন রেমন্ড কোপা, ১৯৫৮ সালে। ফলে দীর্ঘ দিন পর আবারও ফরাসি কোনো তারকার এই পুরস্কার জেতার সম্ভাবনা রয়েছে।
ব্যালন ডি’অর জয়ের পথে বাকিদের চেয়ে বেশ এগিয়েই আছেন করিম বেনজেমা। গত মৌসুমে রিয়ালের জার্সিতে ৪৬ ম্যাচে ৪৪ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়নস লিগে দুটি হ্যাটট্রিকসহ করেছেন ১৫ গোল। সুবাদে এরই মধ্যে উয়েফার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ক্লাবের পাশাপাশি ফ্রান্স জাতীয় দলেও ছন্দে ছিলেন তিনি।
বেনজেমার সঙ্গে যার সবচেয়ে বেশি লড়াই হবে তিনি হলেন রবার্ট লেভানদোভস্কি। গত কয়েক মৌসুমে জার্মান ক্লাবটির হয়ে রীতিমতো ‘গোলমেশিন’ হয়ে ওঠেন লেভা। গত মৌসুমেও ছন্দে ছিলেন তিনি। বায়ার্নকে টানা দশম লিগ শিরোপা জেতাতে রাখেন বড় অবদান। লিগে ৩৫ গোল করে হন সর্বোচ্চ গোলদাতা।
তবে বেনজেমা যা করে দেখিয়েছেন গত মৌসুমে তা কেউ করে দেখাতে পারেননি। তাই ভাবা হচ্ছে, এবারের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারটা যাচ্ছে ফরাসি এই স্ট্রাইকারের হাতেই।
আরও পড়ুন: ব্যালন ডি’অরের তালিকায় নেই কোনো আর্জেন্টাইন
ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকা
থিবো কুর্তোয়া, রাফায়েল লিও, ক্রিস্টোফার এনকুকু, মোহামেদ সালাহ, জশুয়া কিমিচ, ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার আরনল্ড, ভিনিসিয়াস জুনিয়র, বের্নার্দো সিলভা, লুইস দিয়াস, রবার্ট লেভানডোভস্কি, রিয়াদ মাহরেজ, ক্যাসিমিরো, হিউং মিন সন, ফাবিনিয়ো, করিম বেনজেমা, মাইক মাইগনান, হ্যারি কেইন, ডারউইন নুনেজ, ফিল ফোডেন, সাদিও মানে, সেবাস্তিয়ান হলার, লুকা মদ্রিচ, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, আন্তোনিও রুদিগার, কেভিন ডি ব্রুইনা, দুসান ভ্লাহোভিচ, ভার্জিল ফন ডাইক, জোয়াও কান্সেলো, কিলিয়ান এমবাপ্পে, আর্লিং হল্যান্ড।
]]>