ত্রিশের আগে ব্যালন ডি’অরের স্বপ্নও দেখেননি বেনজেমা!
<![CDATA[
লিওনেল মেসি কিংবা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যখন একটার পর একটা ব্যালন ডি’অর জিতছিলেন তখনও করিম বেনজেমা স্বপ্ন দেখাও শুরু করেননি। ক্যারিয়ারের বড় একটা সময় রোনালদোর ছায়ায় ঢাকা পড়ে থাকলেও ঠিকই সায়াহ্নে এসে আপন আলোয় দীপ্তিমান এই ফরাসি। সদ্যই জিতে নিয়েছেন ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। স্ট্যানলি ম্যাথুজের পর সবচেয়ে বেশি বয়সে ব্যালন জিতে বেনজেমা জানালেন, ৩০ বছর বয়সের আগে ব্যালন জেতার স্বপ্নও দেখেননি তিনি।
বাকিরা যখন ২১-২২ বছর বয়স থেকে ব্যালন ডি’অরের স্বপ্ন দেখা শুরু করে, সেখানে করিম বেনজেমা স্বপ্নটা মনে আঁকেন বয়স ৩০ পূর্ণ হওয়ার পর। অথচ ফুটবলারদের জন্য বয়সটা ক্যারিয়ারের শেষের শুরু নিয়ে ভাবার! বেনজেমার বয়সের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বেড়েছে আকাঙ্ক্ষা।
২০০৯ সালে অনেকটা বাড়ি গিয়ে তাকে সাইন করিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। সেদিনের ২১ বছর বয়সী বেনজেমা রোনলাদোর ছায়ায় ঢাকা পড়েন ২০১৮ সাল পর্যন্ত। রোনালদো যখন মাদ্রিদ ছেড়ে তুরিনে পাড়ি জমালেন তখন বেনজেমার বয়স ৩০। যে বয়সে ক্যারিয়ারের শেষ নিয়ে ভাবার কথা সে বয়সে এসে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে থাকলেন বিগবেঞ্জ। তার ভাষায়, ‘ব্যালন ডি’অর নিয়ে ভাবনা সব সময়ই ছিল, তবে আমাকে জিততেই হবে, এমনটা ভেবেছি ৩০ বছর পর। আজকের মতো আকাঙ্ক্ষা ২১ কিংবা ২২ বছর বয়সে আমার ছিল না। ৩০–এর পরই ব্যালন ডি’অর নিয়ে খুব গভীরভাবে চিন্তা করেছি।’
আরও পড়ুন:ব্যালন ডি’অরের ইতিহাসে বেনজেমাই দ্বিতীয় মুসলিম
ক্লাব ফুটবলে শিরোপাসমৃদ্ধ ক্যারিয়ার বেনজেমার। লা লিগা, পাঁচটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ক্লাব বিশ্বকাপসহ সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন এই ফরাসি। তবে ফ্রান্স জাতীয় দলের হয়ে অর্জনের ভাঁড়ারটা এখনো শূন্য তার। ২০১৮ বিশ্বকাপে তার দেশ ফ্রান্স বিশ্বকাপ জিতলেও দলে ছিলেন না তিনি। ভালবুয়েনার ব্লাকমেইলিংয়ের অভিযোগে ২০১৫ সালে দল থেকে বাদ পড়েন। সেখানেই তার জাতীয় দলের ক্যারিয়ারের ইতি দেখাছিলেন অনেকেই। তবে ২০২১ সালে রাজার মতো ফিরেছেন বিগবেঞ্জ। জিতেছেন উয়েফা নেশন্স লিগের শিরোপা। কিন্তু বিশ্বকাপের মাহাত্ম্য তো আরও অনেক বেশি। তাই জিততে চান সামনের মাসে শুরু হতে যাওয়া ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’র শিরোপা।
তিনি বলেন, ‘যখন আমি ফ্রান্স দলে ছিলাম না, সে সময়টা কঠিন ছিল। কিন্তু আমি কখনো হাল ছাড়িনি। বিশ্বকাপ জেতার ইচ্ছা আছে। আশা করছি, কাতার বিশ্বকাপে দলে থাকব। বিশ্বকাপ জেতার জন্য সবকিছুই করতে চাই।’
আরও পড়ুন:ব্যালন ডি’অর র্যাংকিং: হল্যান্ড ১০, রোনালদো ২০
ক্যারিয়ারে মুদ্রার দুই পিঠই দেখা হয়ে গেছে ৩৪ বছর বয়সী ফরাসির। ফুটবলটাকে দেখেন মানুষের আবেগ-অনুভূতির জায়গা হিসেবে। তাই স্বীকৃতি পাওয়ার পর ভুলছেন না শিকড়। ব্যালন ডি’অর উৎসর্গ করছেন জনতাকেই।
তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে খুশি করার জন্য ফুটবল খেলি না। আমি ফুটবল দিয়ে মানুষের মনে আবেগ জাগানোর চেষ্টা করি। আমি জানি, মানুষ আমাকে নিয়ে এখন গর্ব করছে। সে জন্যই আমি বলেছি, এটা জনতার ব্যালন ডি’অর।’
]]>




