চট্টগ্রামে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় মুন্নার ফাঁসি
<![CDATA[
চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে স্কুলছাত্রী তাছনিম সুলতানা তুহিনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মুন্নার ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ আদেশ দেন। তবে মরদেহ গুমে ধর্ষকের মা-বাবার সহায়তা থাকলেও তাদের খালাস দেয়া হয়।
২০১৮ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর অষ্টম শ্রেণির স্কুলছাত্রী তুহিনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শাহনেওয়াজ সিরাজ ওরফে মুন্না। পরে মরদেহ সোফার নিচে প্লাস্টিকের বস্তায় মুড়িয়ে রাখা হয় দুইদিন। মরদেহ গুমে সহায়তা করেন বাবা শাহ জাহান সিরাজ ও মা নিগার সুলতানা। চট্টগ্রাম হাটহাজারী শাহজালাল পাড়ার সামাল ম্যানশন নামে একটি ভাড়া বাসায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর তুহিনের বড় ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আয়ুব খান বলেন, ২০১৯ সালের ১০ জুলাই চার্জশিট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ ৪ বছর আইনি প্রক্রিয়া শেষে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একটি ধারায় মুন্নাকে মৃত্যুদণ্ড অপর ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। তবে এ মামলায় মুন্নার বাবা-মাকে খালাস দেয়া হয়েছে। এদিকে আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় আসামি মুন্না ক্ষুব্ধ হয়ে মিডিয়া কর্মী ও বাদীপক্ষের দিকে তেড়ে আসেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের পর হত্যা: ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
হাটহাজারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাছনিম সুলতানা তুহিনের হত্যার রায়ে খুশি পরিবার। তবে আসামির বাবা-মাকে খালাস দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তুহিনের বাবা ও বড় ভাই।
এদিকে ফাঁসির আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবার কথা জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্যামল বসু।
এ মামলায় ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেয়া হয়।
]]>