ভারপ্রাপ্ত এমডি বললেন, ওয়াসার প্রকল্পে দুর্নীতির সুযোগ নেই
<![CDATA[
ঢাকা ওয়াসার কোনো প্রকল্পে ‘দুর্নীতির সুযোগ নেই’ বলে দাবি করেছেন ঢাকার সুপেয় পানি সরবরাহ এবং পয়ঃনিষ্কাশনের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম সহিদ উদ্দিন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তলবে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এমন দাবি করেন।
ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খানসহ অন্যদের বিরুদ্ধে ‘অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিয়োগবাণিজ্যের’ অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে সহিদ উদ্দিনকে তলব করেছিল দুদক। অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একেএম সহিদ উদ্দিন ওয়াসার উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হলেও বর্তমানে এমডির দায়িত্ব পালন করছেন। এমডি তাকসিম আছেন ছুটিতে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ ওয়াসার
এক প্রশ্নের জবাবে সহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি দেখি না, আসলে কোনো দুর্নীতির সুযোগ নেই। প্রতিটি প্রকল্পে কনসালট্যান্ট থাকে। তারাই দেখাশোনা করেন। তাদের দায়িত্ব প্রকল্পের কাজ শেষ করা। তারা ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে। তাদের সুপারিশেই ঠিকাদারকে বিল দেয়া হয়েছে। এর বাইরে এক টাকাও দেয়া হয়নি।’
ওয়াসার এ কর্মকর্তার ভাষ্য, জিজ্ঞাসাবাদে যা যা জানতে চাওয়া হয়েছে, দুদক কর্মকর্তাদের তার সবই বলেছেন।
সকাল সাড়ে ৯টায় দুদকে আসেন সহিদ উদ্দিন। এরপর ঢাকা ওয়াসার কো-অর্ডিনেশন অফিসার শেখ এনায়েত আবদুল্লাহকেও এ দিন জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদক কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: ওয়াসার এমডিকে বেতন-ভাতার হিসাব দাখিল করতেই হবে
২০০৯ সালে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেয়েছিলেন তাকসিম এ খান। এরপর চার দফায় বাড়ানো মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর। তার সপ্তাহ দুয়েক আগে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তাকসিমের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ায় সরকার।
]]>