নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে টাইগারদের কী কৌশল দরকার?
<![CDATA[
টি-২০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে স্পিনারদের প্রাধান্য দিয়ে একাদশ সাজানো উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেন। বিগ শটের কৌশলে না গিয়ে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী টেকনিক্যাল ক্রিকেট খেলার পরামর্শ দেন তিনি। টিম স্পিরিট ফিরে পেতে ডাচদের বিপক্ষে জয় পাওয়া খুবই জরুরি বলেও মনে করেন সানোয়ার।
বিবর্ণ লাল-সবুজ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ায়ও ধূসর। অফিশিয়াল ওয়ার্মআপ ম্যাচে ফুটে উঠেছে ক্রিকেটারদের অসহায় দৃশ্যপট। ভঙ্গুর মানসিকতা নিয়েই সুপার টোয়েলভ শুরুর অপেক্ষা। তলানিতে ঠেকে যাওয়া আত্মবিশ্বাসের পারদ কি করে ঊর্ধ্বমুখী হবে–এই প্রশ্নের উত্তর জানা নাই। তবুও লড়াইয়ে নামতেই হবে।
শুরুর ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকে পাওয়ায় একপ্রকার লাভই হয়েছে বাংলাদেশের। অন্তত প্রথম ম্যাচে ভারত পাকিস্তানের মতো বিগ শট সামলাতে হচ্ছে না। তারপরও গলদঘর্ম ম্যানেজমেন্ট। কী হবে কৌশল? হোবার্টের কন্ডিশন আর প্রতিপক্ষের দুর্বলতা বিবেচনায় স্পিননির্ভর একাদশে টোটকা খুঁজছেন সাবেকরা।
আরও পড়ুন: নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নামার আগে অনুশীলন সারলেন সাকিবরা
সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেন বলেন, মোস্তাফিজ খুব ভালো বোলার। তাসকিন ভালো করছে, শরিফুল আবার কামব্যাক করছে বা আপস অ্যান্ড ডাউন আছে। সাকিবের মতো স্পিনার আছে। এ ছাড়া মোসাদ্দেক, মিরাজ ও নাসুমের মতো অফ স্পিনার আছে। তাই আমাদের স্পিনের ওপর একটু বেশি নির্ভর করতে হবে।
শ্রীধরন যুগে ইমপ্যাক্ট ক্রিকেট খেলতে গিয়ে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটাই ভুলতে বসেছে বাংলাদেশ। বিগ শট তো হচ্ছেই না, উল্টো টেকনিক্যাল ক্রিকেটও সাইড বেঞ্চে। এই ভুল থেকে বেরিয়ে এসে নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলার পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা অনেক ডট বল খেলেছি। সেগুলো ওভারকাম করতে হবে। এ ছাড়া টিম স্পিরিট নেই। সেই জায়গাটায় কামব্যাক করতে হবে। সেখানে একটাই উপায়, সেটা হলো পারফরম্যান্স। এ জন্য অন্তত একটা ম্যাচ জিততে হবে।’
আরও পড়ুন: প্রথম ম্যাচে চাপে থাকবে বাংলাদেশ: আকরাম খান
একটা জয়ে বদলে যেতে পারে দৃশ্যপট। চাঙা হবে মনোবল, ফিরবে আত্মবিশ্বাস। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটাই হতে পারে টার্নিং পয়েন্ট। এই বিষয়টা অনুধাবন করতে হবে ক্রিকেটারদেরই, তাহলেই সম্ভব।
]]>




