সিত্রাং আতঙ্কে ভোলাবাসী, নৌ চলাচল বন্ধ
<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আতঙ্কে দ্বীপজেলা ভোলার মানুষ। আবহাওয়ার প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য সব ধরনের নৌচলাচল বন্ধ থাকায় দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায়বিচ্ছিন্ন রয়েছে ভোলা। তবে প্রশাসন বলছে, দুর্যোগ সামাল দিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে ভোলা জেলাজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপের দিকে। হাটবাজার ও রাস্তাঘাটে মানুষ চলাচল প্রায় শূন্য। সকাল থেকে বাতাসের গতি বেড়ে যাওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী। সিত্রাং আতঙ্কে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছে ভোলার মানুষ। এদিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সকাল ৭টা থেকে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ করেছে বিআইডব্লিউটিসি। পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ ও ঢাকা-বরিশাল রুটের সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বিআইডব্লিউটিএ। ফলে সোমবার সকাল ৭টার পর থেকে দেশের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে দ্বীপজেলা ভোলা। এতে বিভিন্ন রুটের যাত্রীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। কোস্টগার্ড সদস্যরা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সতর্কবার্তা দিচ্ছেন। সতর্কসংকেত বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের নিরাপদে আনার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছেন তারা।
আরও পড়ুন: যে ১৩ জেলায় মারাত্মক আঘাত হানবে সিত্রাং
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় ৭ উপজেলায় সাতটিসহ জেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত আছে জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র। এ ছাড়া পাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উঁচু ভবন প্রস্তুত থাকবে। জেলার সব সরকারি কর্মকর্তাদের নিজ নিজ দফতরে অবস্থান করে পরিস্থিতি মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। চর ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে আনা ও সতর্কসংকেত প্রচারে জেলার ১৩ হাজার ৬০০ সিপিপির প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছেন। সতর্কসংকেত বাড়লে তারা কাজ শুরু করবেন।
]]>




